জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত কম-বেশি ঊর্ধ্বমুখী ছিল সূচক। ওই সময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছিল ১০৩ পয়েন্ট।

তবে চলতি সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে ডিএসই’র সূচক কমেছে প্রায় ১৪১ পয়েন্ট। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক কমেছে ২৭৬ পয়েন্ট।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অর্থনীতির অন্যান্য খাত ইতিবাচক থাকলেও আস্থা সংকটে দর পতনে ভুগছে পুঁজিবাজার। অব্যাহত দর পতনে বাজারের বিনিয়োগকারীদের হতাশা বাড়ছে। তাই পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক উত্থানে এখাতে সরকারের সুদৃষ্টি প্রয়োজন।

সপ্তাহের অন্যান্য কার্যদিবসের মতো বৃহস্পতিবারও বিক্রয় চাপ অব্যাহত ছিল পুঁজিবাজারে। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৪.২২ পয়েন্ট। এ সময় ডিএসইতে ৪০২ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

অন্যদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক সিএসইএক্স কমেছে ৯৬.৪৩ পয়েন্ট। এদিন সিএসইতে ১৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ডিএসই’র বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫৩টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৭৮টির, কমেছে ২৩৬টির এবং অপরিবর্তীত ছিল ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের।

অর্থাৎ এদিন বাজারে ৬৬.৮৫ শতাংশ কোম্পানি ও ফান্ডের দর কমেছে। এ সময় ডিএসইতে ১১ কোটি ২৭ লাখ ৬ হাজার ৬১৩টি শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

এদিন ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪৪.২২ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৯৫ পয়েন্টে স্থিতি পেয়েছে। গত ২২ আগস্ট ডিএসই’র সার্বিক মূল্যসূচক ৫ হাজার ২৩৬ পয়েন্টে ছিল। কিন্তু, এর পর গত ৫ কার্যদিবসের ৪ কার্যদিবসের দরপতনে সূচক কমেছে ১৪১ পয়েন্ট।

দিনশেষে ডিএসইতে ৪০২ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৫৬ কোটি ৭১ লাখ টাকার। অর্থাৎ এদিন ডিএসইতে লেনদেন কমেছে প্রায় ৫৪ কোটি টাকা।

দিনশেষে ডিএসইতে টার্নওভার তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ইউনাইটেড পাওয়ার। এদিন কোম্পানিটির ১৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল সিলকো ফার্মা। কোম্পানিটির ১৩ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এবং ১২ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ন্যাশনাল পলিমার।

ডিএসই’র টার্নওভার তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, ওয়াটা কেমিক্যাল, মুন্নু জুট স্টাফলার্স, ন্যাশনাল টিউবস, বিকন ফার্মা, গ্রামীণফোন ও ডোরিন পাওয়ার।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ সূচক সিএসসিএক্স এদিন ৯৬.৪৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৪৫৭ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৩৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৪২টির, কমেছে ১৮৪টির এবং অপরিবর্তীত রয়েছে ১৩টির দর।

দিনশেষে সিএসইতে ১৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।