ঈদ পরবর্তী সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানে চলছে লেনদেন। এদিন লেনদেনের শুরু থেকেই সৃষ্ট ক্রয় চাপে বাড়তে থাকে সূচক। সোমবার লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘন্টায় সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকেও লেনদেন রয়েছে আগের দিনের তুলনায় কিছুটা গতি। আলোচিত সময়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের অর্থনীতির সঙ্গে পুঁজিবাজারের সম্পর্ক খুবই কম। অর্থনীতি বাড়লেও পুঁজিবাজার খুব একটা বাড়ছে না। এ জন্য দেশের নীতি নির্ধারক, বাজার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই দায়ী। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে তথা বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখতে দেশের পুঁজিবাজারের ব্র্যান্ডিং করতে হবে। তবে আমরা মার্কেটের সূচককে কমতে বা বাড়তে দেখে আতঙ্কিত হই। এটি খুব খারাপ। কারণ যে কোম্পানি স্বল্প সময়ের, যাদের ক্যাপিটাল মেশিনারিজ, জমি, বিল্ডিং লাগে না তার এনএভি কম হবে ও যৌক্তিকভাবে শেয়ারের দরও কম হবে। ফলে তার পিই এক হবে না। কাজেই পিই অথবা সূচক নিয়ে ঢালাওভাবে যে কথা হয় এতে বাজারে আতঙ্ক তৈরি হয়। আমরা যদি ২০০৮, ২০০৯, ২০১০ সালে দেখি তখন কিছু শেয়ারের পিই ৪০, ৫০, ৬০ বা ১০০ তেও চলে গিয়েছিল। তবে এখন সেরকম পরিবেশ নেই। আর বাংলাদেশে বিনিয়োগের রিটার্ন বা মুনাফা অনেক বেশি। এ দেশে যেসব বহুজাতিক কোম্পানি কাজ করে, তাদের অনেকেরই শীর্ষ লাভজনক শাখা বাংলাদেশ। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ কম আসার কারণ নতুনদের জন্য বাংলাদেশে ব্যবসা করা কঠিন। তবে বর্তমান সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে সেগুলো সফলভাবে শেষ হলে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে বলেও ধারনা তাদের।

এদিকে, আজকের দুপুরের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দুপুর ১২টায় ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫২৩৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১২০৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৮৪৮ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ৩৪৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৮৮টির, দর কমেছে ১০৩টির এবং দর পরিবর্তীত রয়েছে ৫৬টির। এ সময় টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ২০১ কোটি ৭৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।

অথচ এর আগের কার্যদিবস দুপুর ১২টায় ডিএসইর প্রধান সূচক ০.০৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৫১০১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১১৯৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৮৩৪ পয়েন্টে। আর ওইদিন আলোচিত সময়ে লেনদেন হয়েছিল ১২১ কোটি ৮৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ৫২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ৭৪৮ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ১৮২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০০টির, দর কমেছে ৫১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির। আলোচিত সময়ে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৩২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।