Decision Maker

আস্থা বাড়াতে টানা উত্থান জরুরি

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ব্যাপক উত্থানে চলছে লেনদেন। এদিন শুরু থেকেই ক্রয় চাপে ধীরে ধীরে পাহাড় হচ্ছে সূচক। সোমবার লেনদেন শুরুর প্রথম ঘন্টায় সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশীরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আলোচিত সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে প্রায় ১৬০ কোটি টাকা। আর বাজারে ইতিবাচক ধারা ফেরার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে ব্যাংক, বীমা, আর্থিক ও বস্ত্র খাতের শেয়ার। আলোচিত সময় পর্যন্ত এসব খাতে থাকা কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর অনেকটা বেড়েছে। এমনকি ব্যাংক খাতের শতভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। পাশাপাশি লেনদেনে আধিপত্য জ্বালানী, ওষুধ ও প্রকৌশল খাতের প্রাধান্য বিরাজ করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারের সাম্প্রতিক উত্থানের মূলে রয়েছে ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ করে দেয়। গতকাল অর্থমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়াতে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব পোর্টফোলিও থেকে সরাসরি অথবা সাবসিডিয়ারীতে ঋণ প্রদাণের মাধ্যমে পোর্টফোলিওর আকার বৃদ্ধি করে বিনিয়োগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর এ নির্দেশ অনুযায়ী আজ থেকে পুঁজিবাজারে সংক্রিয় হয়েছেন তারা। ফলশ্রুতিতে সূচক বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন ওই বিশ্লেষকরা।

তারা আরও বলছেন,  দীর্ঘ পতনের পর এমন উত্থানই প্রত্যাশা ছিল সবার। কেননা টানা মন্দায় সূচক ও লেনদেন ছিল তলানিতে। দরপতনে নাভিশ্বাস উঠেছিল বিনিয়োগকারীদের। এমন অবস্থা থেকে সরকারের তৎপড়তা সত্যিই প্রশংসনীয়। যা আজ পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে দীর্ঘ মন্দার পর ভালো প্রত্যাশায় ফেরা সাধারণ বিনিয়োগকারী হারানো আস্থা বাড়াতে কয়েক দিন সূচকের টানা উত্থান জরুরি। তাহলেই বাজারে কাঙ্খিত গতি ফিরবে। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের আস্থাও ফিরবে বলেও মনে করছেন তারা।

এদিকে, আজকের দুপুরের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আজ দুপুর সাড়ে ১১টায় ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১০৯ পয়েন্টে বেড়ে অবস্থান করছে ৫০৩০ পয়েন্টে। আর ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ১৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১১৬৮ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৭৯৫ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ৩৪৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩১৩টি, দর কমেছে ১৭টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। এ সময় টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১৫৭ কোটি ৪৯ লাখ ১৭ হাজার টাকা।

এর আগের কার্যদিবস অর্থাৎ রোববার দুপুর ১২টায় ডিএসই ব্রড ইনডেক্স ৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৪৮৬২ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১১৩৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৭৪৫ পয়েন্টে। এ সময় টাকার অংকে লেনদেন হয়েছিল ১১৬ কোটি ৭১ লাখ ৫১ হাজার টাকা।

অন্যদিকে, দুপুর সাড়ে ১১ টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ২৬৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৫ হাজার ২১৫ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ১৩৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৫টির, দর কমেছে ৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর। যা টাকার অংকে ৪ কোটি ৯১ লাখ ৫ হাজার টাকা।

ভালো প্রত্যাশায় ফেরা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে টানা উত্থান জরুরি

Exit mobile version