পুঁজিবাজারে গতকাল লেনদেনের শেষার্ধে
হঠাৎ শেয়ার কেনার চাপ বাড়লে সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী হয়। শেষ পর্যন্ত ইতিবাচক গতিতেই
থাকে বাজার। সূচক ইতিবাচক হলেও লেনদেন কমে গেছে। বৃহৎ খাতগুলো মোটামুটি ভালো অবস্থানে
ছিল। বিক্রির চাপ ছিল ব্যাংক, টেলিযোগাযোগ, সিমেন্ট ও পাট খাতে। লেনদেন বেড়েছে ওষুধ
ও রসায়ন এবং বিমা খাতে। শেয়ার কেনার চাহিদা ছিল বিমা, চামড়া শিল্প, বিবিধ ও খাদ্য খাতে।
গতকাল ব্যাংক ও প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয় ১৫ শতাংশ করে।
ব্যাংক খাতে ২৯ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। ব্র্যাক ব্যাংকের ১০ কোটি টাকা লেনদেনের
পাশাপাশি দর বেড়েছে দুই টাকা। আইএফআইসি ব্যাংকের সাড়ে চার কোটি টাকা লেনদেন হয়, দর
বেড়েছে ১০ পয়সা। দরপতনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় ছিল ব্যাংক এশিয়া, রূপালী ব্যাংক
ও আল-আরাফাহ্ ব্যাংক। প্রকৌশল খাতে ৬৮ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। প্রায় আট শতাংশ বেড়ে
ওয়েম্যাক্স ইলেকট্রোড দর বৃদ্ধির তৃতীয় অবস্থানে উঠে আসে। ইস্টার্ন কেব্লসের সোয়া ৯
কোটি টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে পাঁচ টাকা ৮০ পয়সা। লেনদেনের প্রথমদিনে রানার
অটোমোবাইলের দর ৩৪ শতাংশ বাড়লেও গতকাল দ্বিতীয় দিনে দর কমেছে দুই দশমিক ৭১ শতাংশ। চার
শতাংশ বেড়ে গতকাল ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয় ১২ শতাংশ। জেএমআই সিরিঞ্জের সাড়ে ৯ কোটি
টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে ১৯ টাকা ৪০ পয়সা। আগেরদিনের থেকে পাঁচ শতাংশ বেড়ে
বিমা খাতে লেনদেন হয় ১২ শতাংশ। এ খাতে ৭৯ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। দর বৃদ্ধির শীর্ষ
দশে উঠে আসে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ইসলামিক ইন্স্যুরেন্স,
জনতা ইন্স্যুরেন্স, জেএমআই সিরিঞ্জ, ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স ও পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স।
এসব শেয়ারের দর সাড়ে পাঁচ থেকে সাড়ে ৯ শতাংশ বেড়েছে। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে লেনদেন
হয় ১০ শতাংশ। এ খাতে ৬৩ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। ইউনাইটেড পাওয়ারের সাড়ে ৯ কোটি
টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে তিন টাকা ৩০ পয়সা। চামড়া শিল্প খাতে ৮৩ শতাংশ কোম্পানির
দর বেড়েছে। এ খাতের ফরচুন শুজের সাড়ে ১৭ কোটি টাকা লেনদেন হলেও ৪০ পয়সা দরপতনে ছিল।
বিবিধ খাতে ৭৫ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। খাদ্য খাতে ৮২ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে।