ব্যাংক এক্সপোজার লিমিট গণনায় সংশোধন আসাসহ ছয় ইস্যুতে রোববার ইতিবাচক উত্থানে ছিল পুঁজিবাজার। ওই দিন লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক বেড়েছিল ১০৪.৯১ পয়েন্ট। কিন্তু এক দিনের ব্যবধানে সোমবার বড় দর পতনে ভুগছে পুঁজিবাজার।
সোমবার দিনশেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক কমেছে ৫৯.৫৬ পয়েন্ট। হঠাৎ দর পতনে হতাশ হয়েছে বাজারের বিনিয়োগকারীরা।
তথ্য বিশ্লেষনে দেখা যায়, রোববারে সূচকের উত্থানে যেসকল কোম্পানি ভূমিকা রেখেছে, সোমবার তাদের অধিকাংশের দর পতনে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
রোববার বাজারের ইনডেক্স উত্থানকে তরান্বিত করেছে তালিকাভুক্ত ৯ কোম্পানি। তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলো হলো- গ্রামীণফোন, ব্র্যাক ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মা, ব্যাংক এশিয়া, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, বার্জার পেইন্টস, আইএফআইসি ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক ও আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড।
সোমবার দর পতনকে তরান্বিত করেছিল- গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মা, আল-আরাফাহ ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ইসলামি ব্যাংক, ইউনাইটেড পাওয়ার, ট্রাস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, শাহজালাল ব্যাংক ও মবিল যমুনা।
রোববার ডিএসই’র সার্বিক মূল্যসূচকের ১১.৪৮ পয়েন্ট বেড়েছিল টেলিকমিউনিকেশন খাতের গ্রামীনফোনের শেয়ার দরে উল্লম্ফনের কারণে। কিন্তু সোমবার গ্রামীণফোনের শেয়ার দরের পতনে সূচক কমেছে ৬.৭২ পয়েন্ট।
এদিকে, রোববার ডিএসইএক্স ইন্ডেক্সে ৫.৭৯ শতাংশ পয়েন্ট যোগ করেছিল ব্র্যাক ব্যাংক। কিন্তু সোমবার এ ব্যাংকের দর পতনে সূচক কমেছিল ২.৯৩ পয়েন্ট।
রোববার স্কয়ার ফার্মার উপর ভিত্তি করে ডিএসইএক্স ইন্ডেক্স বেড়েছিল ৫.৪৪ শতাংশ। কিন্তু সোমবার এ কোম্পানিটির দর পতনে সূচক কমেছে ৩.৬৯ পয়েন্ট।
এছাড়া সোমবার আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের দর পতনে সূচক কমেছে ৩.৩৬ পয়েন্ট, ইউনাইটেড পাওয়ারের দর পতনে সূচক কমেছে ২.১৭ পয়েন্ট, ট্রাস্ট ব্যাংকের দর পতনে সূচক কমেছে ০.৯৯ পয়েন্ট, ন্যাশনাল ব্যাংকের দর পতনে সূচক কমেছে ০.৮৫ পয়েন্ট।
উল্লেখ্য, সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৪.৬ শতাংশ বা ৫০টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছিল। কিন্তু দিনশেষে দর কমেছে ৭৬.৭ শতাংশ বা ২৬৩টির ও দর অপরিবর্তিত ছিল ৮.৭ শতাংশ বা ৩০টি প্রতিষ্ঠানের। এদিন ব্যাংকিং খাতের প্রায় ৭৫ শতাংশের দর কমেছে। এর আগের কার্যদিবসে অর্থাৎ রোববার ব্যাংকিং খাতের প্রায় ৯০ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছিল।