একদিন উঠবে আবার টানা নেমে যাবে, এরকম নিয়ন্ত্রিত বাজার চান না বিনিয়োগকারীরা। এরই অংশহিসেবে বড় উত্থানের দিনেও আগের অব্যাহত দরপতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে পুজিঁবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ করেছেন তারা।

বিনিয়োগকারীরা বলেন, আজকে বাজার ঘুরেছে। আমরা চাই এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক। তাহলেই আর বিনিয়োগকারীদের কোন দুশ্চিন্তা থাকেনা। কোন প্রতিবাদের দরকার হয় না। বাজার পতনের কারণে প্রতিবাদ করেছিলাম বলে আমাদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করা হয়েছে। বাজারের স্বার্থে, বাজার নিয়ে যদি কোন কথা বলতে হয় তাহলে আমরা তো বাংলাদেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসই, অথবা প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র কাছেই যাব। যাতে করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কথা দ্রুত বাজার সংশ্লিষ্টরা শুনতে পারেন, বুঝতে পারেন।

এক বিনিয়োগকারী বলেন, পুলিশের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। বাজারের দুর্দিনে প্রতিবাদ করব। যদি জেল হয় হোক। আমরা গতিশীল বাজার চাই।

এদিকে আগামি বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) আবার বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন পুজিঁবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রশিদ চৌধুরী। তিনি বলেন, যতদিন বাজার ঊর্ধ্বমুখী করতে স্থায়ী সমাধান না করা হবে আমরা আন্দোলন করতেই থাকব। এভাবে একদিন বাজার উঠবে আবার নেমে যাবে, এরকম নিয়ন্ত্রিত বাজার চাইনা।

তিনি আরও বলেন, টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীরা পুঁজি হারিয়ে নি:স্ব হলেও নীতি নির্ধারণী মহল দৃশ্যত কোন দায়িত্ব পালন করছে না। বরঞ্চ সর্বহারা বিনিয়োগকারীদের দমিয়ে রাখতে সংশ্লিষ্টমহল ফায়দা হাসিলের জন্য জিডি করেছে। যাতে বিনিয়োগকারীদের রক্তরক্ষণেও কোন প্রকার প্রতিবাদ করতে না পারে। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া টানা পতনে আজ বিনিয়োগকারীর মৃত প্রায়। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। মার্কেট মেকারের দায়িত্ব কেউই পালন করছে না। এভাবে চলতে থাকতে বিনিয়োগকারীরা পথে বসে যাবে। শেয়ারবাজার ঠিক না থাকলে দেশের অর্থনীতিও ভালো থাকে না। যদি মার্কেট ভালো না হয় তাহলে পুঁজিবাজারে আরেকটি কলঙ্কিত অধ্যায় রচিত হবে। তাই বাজারকে গতিশীল করতে হলে সরকারকে মূখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।