এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেড ও ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল) ও ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এমজেএল বাংলাদেশ: কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএএ’ এবং স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি১’। ৩০ জুন ২০১৮ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর দুই দশমিক ৯ শতাংশ বা এক টাকা ৯০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৮৯ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৮৯ টাকা ১০ পয়সা। ওই দিন কোম্পানিটির এক কোটি ১০ লাখ ৯৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে এক লাখ ২৩ হাজার ৭৭০টি শেয়ার মোট ৩৩৮ বার হাতবদল হয়। ওই দিন শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৮৮ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৯০ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৩০ টাকা থেকে ৭৮ টাকায় ওঠানামা করে।
তেল ও জ্বালানি খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানি ২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩০ জুন ২০১৮ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪৫ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে সাত টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ৪৯ পয়সা। এটি আগের বছর ছিল যথাক্রমে ছয় টাকা ৯১ পয়সা ও ৩৪ টাকা ৯৩ পয়সা। ওই সময় মোট মুনাফা করেছিল ২১১ কোটি এক লাখ ৯০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ২০৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩১৬ কোটি টাকা ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ৩১ কোটি ৬৭ লাখ ৫২ হাজার ২৭টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৭১ দশমিক ৫৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ, বিদেশি শূন্য দশমিক ৩৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ১০ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স: কোম্পানিটি রেটিং পেয়েছে ‘এএ মাইনাস’। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে শেয়ারদর দুই দশমিক ২২ শতাংশ বা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২৭ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৭ টাকা ২০ পয়সা। দিনজুড়ে ৪৪ হাজার ৩২৯টি শেয়ার ৬১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১২ লাখ ১৪ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিন্ম ২৭ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৮ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ২১ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৪৩ টাকা ৩০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
বিমা খাতের কোম্পানিটি ১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে এ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি ৩৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৩০ কোটি ৩৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট চার কোটি তিন লাখ ৪১ হাজার ৫৭২টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪৬ দশমিক ৯০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ২৩ দশমিক ৬২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ২৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ শেয়ার।