Decision Maker

গতিশীল পুঁজিবাজারের স্বপ্ন কি অধরাই রয়ে যাবে?

সপ্তাহজুড়ে পতনের ধাক্কায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে প্রধান সূচকের পতন হয়েছে ১৫৮ পয়েন্ট। লেনদেন নেমেছে ৩০০ কোটি টাকার ঘরে। পুঁজিবাজার ভালো হওয়ার স্বপ্ন বিনিয়োগকারীদের কাছে অধরাই থেকে যাচ্ছে। ধৈর্য ধরতে ধরতে তারা শেষ সীমায় পৌঁছে গেছেন। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বারবার আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও বাজারে ভালো কিছুই হয়নি। নিয়ন্ত্রক সংস্থার নানা সংস্কারমূলক পদক্ষেপ কোনো কাজেই আসছে না। চীনের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ কৌশলগত অংশীদার হলে বাজার ভালো হবে। বিনিয়োগকারীদের এ প্রত্যাশা পূরণ না হলেও তারা আশায় ছিলেন নতুন সরকার ক্ষমতায় এলে বাজার ভালো হবে। সে প্রত্যাশায়ও গুঁড়েবালি। এরপর প্রত্যাশা ছিল নতুন অর্থমন্ত্রী পুঁজিবাজারবান্ধব হবেন এবং বাজার ভালো হবে। সে প্রত্যাশাও পূরণ হলো না। বাজেটের পর বাজার ভালো হবে। তারও কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বরং বাজারের দরপতন স্থায়ী হয়ে যাচ্ছে। দু-একদিন সূচকের উত্থান হবে এটাই বাজারের স্থায়ী চিত্র হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বারবার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে দু-একদিন সূচক বাড়িয়ে বিনিয়োগকারীদের আইওয়াশ করলেও দীর্ঘ মেয়াদে বাজারের সামান্যতম উন্নতিও হচ্ছে না। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়ে বাজারের ওপর সম্পূর্ণরূপে আস্থা হারিয়ে ফেলছেন।
গত সপ্তাহের মন্দাবাজারে শুধু বিমা ও মিউচুয়াল ফান্ড এ দুটি খাতে সামান্য গতিবিধি দেখা যায়। বাকি খাতগুলোতে ছিল দরপতনের প্রতিযোগিতা। যেন কোন খাতে কত বেশি কোম্পানির দরপতন হতে পারে। গতকাল আগের কার্যদিবসের তুলনায় পতন কমেছে। ব্যাংক খাতে বেশিকিছু কোম্পানির দর বৃদ্ধি সূচকের পতনের হার কমিয়েছে। এক চর্তুথাংশের বেশি বা ২৬ শতাংশ লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। এ খাতে ৫৩ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। প্রায় ১৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে শীর্ষে উঠে আসে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স। শেয়ারটির দর বেড়েছে ২০ টাকা ৪০ পয়সা। কোম্পানিটি দর বৃদ্ধিতে নবম স্থানে ছিল। ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের সাড়ে ১০ কোটি টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে এক টাকা ৪০ পয়সা। কোম্পানিটি দর বৃদ্ধিতে চতুর্থ অবস্থানে উঠে আসে। রূপালী ইন্স্যুরেন্সের পৌনে আট কোটি টাকা লেনদেন হলেও ৭০ পয়সা দরপতন হয়। প্রগতি ইন্স্যুরেন্স দশম অবস্থানে উঠে আসে। প্রকৌশল ও বস্ত্র খাতে ১১ শতাংশ করে লেনদেন হয়। প্রকৌশল খাতে ৩৬ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। রানার অটোর সোয়া ছয় কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর কমেছে সাড়ে তিন টাকা। ন্যাশনাল টিউবসের প্রায় পাঁচ কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৯০ পয়সা। বস্ত্র খাতে মাত্র ১৪ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। ব্যাংক খাতে ৪৬ শতাংশ ও জ্বালানি খাতে ৩৭ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ২৭ শতাংশ ইউনিটের দর ইতিবাচক ছিল।

Exit mobile version