সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানে চলছে লেনদেন। এদিন শুরুতে ক্রয় চাপে কিছুটা বেশী থাকলেও পরবর্তীতে তা কিছুটা হ্রাস পায়। রোববার লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘন্টায় সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকেও লেনদেন রয়েছে আগের দিনের তুলনায় কিছুটা গতি। আলোচিত সময়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৬০ কোটি টাকা। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারে উন্নয়নে সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবু বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরছে না। ফলশ্রুতিতে দিনের শুরুতে উত্থান থাকলেও তার স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয়ে থাকতে হয়। মূলত বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা না ফেরার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে—ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের তারল্যসংকট ও চড়া সুদের হার, করপোরেট সুশাসনে বড় ধরনের ঘাটতি, কারসাজি ও পণ্যবৈচিত্র্য না থাকা। বিনিয়োগযোগ্য কোম্পানি হাতে গোনা কয়েকটা। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর অভাব। মিউচুয়াল ফান্ডের দৈন্যদশা। অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ বন্ড মার্কেট না থাকা। এত সব সমস্যা যে বাজারে বিদ্যমান, সেখানে বিনিয়োগকারীরা কখনোই বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে আসবেন না। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার যত বেড়েছে, পুঁজিবাজারে আকার তার তুলনায় কমেছে। তার মানে, এ বাজারে বিনিয়োগ আসছে না। ৮ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধির পরও পুঁজিবাজারে লেনদেন ৪০০ কোটি টাকায় নেমে যাওয়া কখনোই নিয়ন্ত্রক সংস্থার জন্য সাফল্যের সূচক হতে পারে না বলেও ধারনা তাদের।

এদিকে, আজকের দুপুরের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দুপুর ১২টায় ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪৯৮০ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ০.৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১১৪৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৭৬৭ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ৩৩৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৮টির, দর কমেছে ১২৪টির এবং দর পরিবর্তীত রয়েছে ৬২টির। এ সময় টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১৬০ কোটি ৪০ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।

অথচ এর আগের কার্যদিবস ১২টায় ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ১৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৪৯৬৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১১৫১ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৭৭১ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ১৩৩ কোটি ৫ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ২৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৫ হাজার ১১০ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ১৩৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৩টির, দর কমেছে ৫৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির। আলোচিত সময়ে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৪৪ লাখ ১৮ হাজার টাকা।