অব্যাহত রয়েছে পুঁজিবাজারের সূচকের পতন। টানা ৫ কার্যদিবসে ধারাবাহিক পতনে বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৫৮.৪৯ পয়েন্ট।
দিনশেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৮.৩২ পয়েন্ট। এদিন ডিএসইতে ৩৫১ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক কমেছে ২৯.৮৩ পয়েন্ট। এদিন সিএসইতে ১২ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ডিএসই’র বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১০৮টির, কমেছে ২১৯টির এবং দর অপরিবর্তিত ছিল ২৬টি প্রতিষ্ঠানের। এ সময় ডিএসইতে ১৩ কোটি ৬৩ লাখ ৬৫ হাজার ১৫৬টি শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৮.৩২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২২২ পয়েন্টে। অপরদিকে, শরিয়াহ সূচক ৩.৬৬ পয়েন্ট ও ডিএস-৩০ সূচক ৩.১৯ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১ হাজার ১৯৪ ও ১ হাজার ৮৫৭ পয়েন্টয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিন ডিএসইতে ৩৫১ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪০৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকার।
দিনশেষে ডিএসইতে টার্নওভার তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এদিন কোম্পানিটির ১৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, কোম্পানিটির ১০ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এবং ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে আসে গ্রামীণফোন।
ডিএসইর টার্নওভার তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- রূপালি ইন্স্যুরেন্স, মুন্নু সিরামিক, ইউনাইটেড পাওয়ার, এশিয়ান টাইগ্রাম সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ড, রানার অটোমোবাইলস, সিনো বাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ ও ন্যাশনাল টিউবস।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ সূচক সিএসসিএক্স এদিন ২৯.৮৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৬৯৮ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৬৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৬৪টির, কমেছে ১৭৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির দর। আজ ১২ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।