Decision Maker

দক্ষ ব্যবসায়ী ও জ্ঞাননির্ভর বিনিয়োগকারী চাই : শিক্ষা উপমন্ত্রী

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, আমরা ফড়িয়া ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী ও পুঁজি সংগ্রহকারী চাই না। আমরা চাই দক্ষ ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী ও পুঁজি সংগ্রহকারী। চাই জ্ঞাননির্ভর বিনিয়োগকারী। আর এর কোনো বিকল্প নেই।’

শনিবার দুপুরে নগরের কাজীর দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দেশব্যাপী ‘বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম’ এর অংশ হিসেবে এ কনফারেন্স আয়োজন করে।

বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন বিএসইসির কমিশনার প্রফেসর মো. হেলাল উদ্দিন নিজামী, ড. স্বপন কুমার বালা, খন্দকার কামালুজ্জামান প্রমুখ।

এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘আশার বাণী শুনিয়ে পুঁজিবাজার পরিবর্তন করা কী সম্ভব? জেনে বুঝে বিনিয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনী ইশতেহার কমিটির সদস্য হিসেবে যখন কাজ করি তখন পুঁজি বাজারকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। পুঁজিবাজারে আমাদের সক্ষমতা ক্রমে বাড়ছে। বাংলাদেশ অর্থনীতি বিশ্বের বিস্ময়। আমাদের দরকার অর্থনৈতিক সুশাসন। আমরা পুঁজিবাজারে সুশাসন নিশ্চিত করতে চাই। উদ্দেশ্য সঠিক না হলে পুঁজিবাজার এগোবে না। জনগণের অর্থ নিয়ে ছিনিমিনি যারা খেলবে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা সময়ের দাবি।’

তিনি বলেন, ‘স্ট্রাকচারাল প্রবলেম সমাধান করবো। আমরা জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। তেমনি সরকারি সংস্থাগুলোকেও জবাবদিহি করতে হবে। আমরা টেকসই সমাধান চাই। সর্বস্ব নিয়ে, ধার করে পুঁজিবাজারে আসে। এটি মহৎ কাজ। নিয়ন্ত্রক সংস্থার হস্তক্ষেপের ক্ষমতা বাড়াতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে বিএসইসির আইনি সক্ষমতা বাড়ানো বিনিয়োগকারীদের দাবি।’

ড. এম খায়রুল হোসেন বলেন, ‘পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের প্রধান হাতিয়ার জ্ঞান। জেনে বুঝে বিনিয়োগ করতে হবে, জেনে শুনে নয়। বাজারের গভীরতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের বিকল্প প্রডাক্ট আনতে হবে। ২০৪১ সালে ধনী দেশে উন্নীত হতে হলে এটি একটি পয়েন্ট। দেশি-বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার উদ্যোগ নিচ্ছি। ক্ষুদ্র ও মাঝারী বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।’

প্রফেসর মো. হেলাল উদ্দিন নিজামী বলেন, ‘বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সচেতন করতে। বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমকে মূলধারার পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা আছে। বিনিয়োগে শিক্ষার কোনো বয়স নেই। পেশাজীবীদের বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের কৌশল ভিন্ন হবে।’

সুত্র- বিডি_প্রতিদিন

Exit mobile version