Decision Maker

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থও আমাদের দেখতে হবে- প্রধানমন্ত্রী

“একটি সমৃদ্ধ অর্থনীতির জন্য প্রয়োজন বিকশিত একটি পুঁজিবাজার। এই বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য অনেক প্রণোদনা থাকছে। এই সব প্রস্তাব বাস্তবায়নের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের সম্প্রসারণ হবে। এভাবে পুঁজিবাজার তার কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা পালনে সক্ষম হবে বলে আমি আশা করি।” শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনার সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার যে প্রস্তাব বাজেটে করা হয়েছে, তা যুগোপযোগী। ব্যাংক ঋণের সুদ এক অংকে নামিয়ে আনতে হবে। সুদ বেশি থাকলে ব্যবসা বাণিজ্য বিকশিত হয় না। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থও আমাদের দেখতে হবে।

খেলাপি ঋণ হ্রাসের জন্য অর্থমন্ত্রী যেই উদ্যোগের ঘোষণা দিয়েছেন তা অত্যন্ত সময় উপযোগী। পাশাপাশি আমার সুপারিশ থাকবে যেন ব্যাংক ঋণের উপর সুদের হার এক অংকের মধ্যে রাখা হয় অর্থাৎ সিঙ্গেল ডিজিট। এটি করা গেলে শিল্প ও ব্যবসা খাতকে প্রতিযোগিতা সক্ষম করে গড়ে তোলা সক্ষম হবে। কারণ উচ্চহারে সুদ থাকলে কোনো ইন্ডাস্ট্রি বিকশিত হবে না।

২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘জনবান্ধব, উন্নয়নমুখী ও সুষম’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, এই বাজেটে দেশের প্রত্যেকটি মানুষ উপকৃত হবেন। এতে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি মনে করি দেশের প্রত্যেক নাগরিক এই বাজেটে উপকৃত হবে। ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালে উন্নত এবং সমৃদ্ধশালী দেশ প্রতিষ্ঠায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এই বাজেট সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহযোগিতা করবে। বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এই বাজেট দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে বিভিন্ন সরকারের সময় বাজেটের বিশাল অংশটিই ছিল বৈদেশিক অনুদান নির্ভর। আমরা সরকার গঠনের পর সেই নির্ভরতা কমিয়ে এনেছি। আমরা আয় বুঝে ব্যয়ের যে বিষয়টি বলা হয়েছে, সেটি বিবেচনা করেই বাজেট দিই। দেশকে আমরা উন্নতির দিকে নিয়ে আসতে পেরেছি বলেই আজকে বাজেটে বৈদেশিক অনুদান শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ।

‘আমরা গত ১০ বছরে মাথা পিছু আয় ১ হাজার ৯৯৯ ডলারে উন্নত করেছি। দারিদ্র্যের হার ২১ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। এই হার অন্তত ১৬ শতাংশে নামিয়ে আনবো- এটা আমাদের লক্ষ্য। প্রবৃদ্ধি যখন উচ্চ আর মুদ্রাস্ফীতি যখন নিম্ন থাকে তখন এর সুফল দেশের মানুষ পায়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাজেটে ঘাটতি সহনশীল। বাজেটে ঘাটতি কখনও বেশি হয় না। মাত্র ৫ শতাংশ ঘাটতি হয়। আমাদের লক্ষ্য আগামী ২০২৩-২৪ সালে প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশে উন্নীত করা, মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৫০ ডলারে উন্নীত করা, অতি দরিদ্র ৪ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা।

‘আজ সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশ ডিজিটাল। আগে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে নিজেরাও দুর্নীতি করেছে। এ কারণে দুর্নীতি সমাজে  ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়েছে।  দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার নীতি হলো জিরো টলারেন্স।’

Exit mobile version