Decision Maker

প্রণোদনার পরেও ছন্দে ফিরছে না পুঁজিবাজার

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানে চলছে লেনদেন। এদিন লেনদেনের শুরুতে উত্থান থাকলেও কিছুক্ষণ পর সৃষ্ট বিক্রয় চাপে নামতে থাকে সূচক। তবে সোয়া ঘন্টা পর পুনরায় ঘুরে দাঁড়ায় বাজার। সোমবার লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘন্টায় সূচক কিছুটা বাড়লেও কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকেও লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। আলোচিত সময়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে প্রায় ১৫৫ কোটি টাকা। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জানুয়ারির শেষের দিক থেকে বাজারে খারাপ অবস্থা বিরাজ করছে। সম্প্রতি বাজার ভালো করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা দেওয়ার পরেও কোনোমতেই ছন্দে ফিরছে না বাজার। ২০১০ সালের পর যেসব মৌলভিত্তির কোম্পানি আসছে, সেগুলোর দরও কমে যাচ্ছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থাহীনতা কাজ করছে। এতে একদিকে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে ব্রোকারেজ হাউজ মালিকদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা কাজ করছে। আর বাজার যখন খারাপ অবস্থানে যায়, তখন একে অপরকে দোষারোপ করে। বাজার খারাপ হওয়ার জন্য কাউকে দোষারোপ না করে একসঙ্গে বসে কীভাবে বাজার ভালো করা যায়, তার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও মনে করছেন তারা।

এদিকে, আজকের দুপুরের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দুপুর ১২টায় ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫০৩৭ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১১৭৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ০.৯২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৭৬৭ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ৩৪২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৫টির, দর কমেছে ১৬৪টির এবং দর পরিবর্তীত রয়েছে ৭৩টির। এ সময় টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১৫৩ কোটি ৬০ লাখ ৯ হাজার টাকা।

এর আগের কার্যদিবস একই সময় ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ১৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৫০৩১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১১৭০ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৭৬৫ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ১৬১ কোটি টাকা।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স সিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৯ হাজার ২৮৬ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ১৪৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৪১টির, দর কমেছে ৮১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির। আলোচিত সময়ে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৬০ কোটি ২৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।

Exit mobile version