সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় চলছে লেনদেন। এদিন শুরু থেকে সূচকে কিছুটা উত্থান-পতন লক্ষ করা যায়। বুধবার লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘন্টায় সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। আলোচিত সময়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে মাত্র ৭৫ কোটি টাকা। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দিন যত গড়াচ্ছে পুঁজিবাজারে দরপতনের মাত্রা ততই বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে মূলধন হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। যদিও পতন ঠেকাতে বিভিন্ন সংস্থা বৈঠকে তৎপর। কিন্তু তার কোন বাস্তব প্রতিফলন নেই সূচকে। নানা কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। তা দূর করে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় করতে হবে। কেননা তাদের নিষ্ক্রিয়তায় লেনদেন ২০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে যাচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।

এদিকে, আজকের দুপুরের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দুপুর ১২টায় ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫২২১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১২০২ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ০.১৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৮২৫ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ৩২০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫১টির, দর কমেছে ৯৪টির এবং দর পরিবর্তীত রয়েছে ৭৫টির। এ সময় টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৭৯ কোটি ৬৭ লাখ ১৯ হাজার টাকা।

এর আগের কার্যদিবস একই সময় ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ২৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৫২২০ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১২০৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৮২৮ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৮০ কোটি ৫৪ লাখ ৯ হাজার টাকা।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ৬৫৭ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ১০৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৪১টির, দর কমেছে ৪০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির। আলোচিত সময়ে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৯০ লাখ ৪৫ টাকা।