প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) পূর্ব প্লেসমেন্ট শেয়ারে সর্বোচ্চ ১ বছর বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা (লক-ইন) চায় বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। এ লক্ষে গত ১৩ মে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) লিখিত প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বিএমবিএর সাধারন সম্পাদক খায়রুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ বলেন, প্লেসমেন্টে লক-ইন, সর্বনিম্ন মূলধন উত্তোলনের পরিমাণ ও প্লেসমেন্ট শেয়ার ইস্যু নিয়ে গাইডলাইন তৈরী করার বিষয়ে কমিশনে প্রস্তাব দিয়েছি। এক্ষেত্রে প্লেসমেন্ট শেয়ারে ৬ মাস থেকে সর্বোচ্চ ১ বছর লক-ইন করার প্রস্তাব করেছি।
তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে প্লেসমেন্ট শেয়ারে সর্বোচ্চ ১ বছরের লক-ইন রয়েছে। কিছু কিছু দেশে এই লক-ইন আরও কম। যেমন ভারত, চীন, থাইল্যান্ড, শ্রীলংকা, পাকিস্তান ও সিঙ্গাপুরে সর্বোচ্চ ১ বছরের লক-ইন রয়েছে। এছাড়া মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও হংকংয়ে ৬ মাস এবং মায়ানমারে সর্বোচ্চ ৩ মাসের লক-ইন ব্যবস্থা চালু রয়েছে।
তিনি বলেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে লক-ইন এর পাশাপাশি ভবিষ্যতে জটিলতা এড়াতে প্লেসমেন্ট শেয়ার ইস্যু নিয়ে কমিশনকে গাইডলাইন তৈরী করার প্রস্তাব করেছি। এছাড়া আইপিওতে ফিক্সড প্রাইস মেথডে ৫০ কোটি টাকার পরিবর্তে সর্বনিম্ন ৩০ কোটি টাকা উত্তোলনের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। একইসঙ্গে একটি কোম্পানির আইপিও পরবর্তী পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা রাখার বাধ্যবাধকতা আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল গৃহিত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত জনমত জরিপের পরে চূড়ান্ত করা হবে বলে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ১৫ মে আয়োজিত এক বৈঠকে বিএসইসি চেয়ারম্যান এ কথা জানিয়েছিল। তিনি বলেন, উদ্যোক্তা/পরিচালকদের শেয়ারে ৩ বছর লক-ইন ঠিক আছে। তবে অন্যদের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জনমত জরিপকে বিবেচনায় নিতে হবে। একপাক্ষিক সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। একইসঙ্গে পাবলিক ইস্যু রুলসের যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কোটা, সর্বনিম্ন মূলধন উত্তোলনের পরিমাণ ইত্যাদি বিষয়েও সংশোধনীর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জনমত জরিপকে বিবেচনায় নেওয়া হবে।
এর আগে গত ২৯ এপ্রিল কমিশন প্লেসমেন্টে শেয়ার ইস্যুর ক্ষেত্রে বিএসইসির অনুমোদন লাগবে না, আইপিওকালীন সকল শেয়ারে ৩ বছর লক-ইন থাকবে, লক-ইন প্রসপেক্টাসের সংক্ষিপ্ত সংস্করন প্রকাশের দিনের পরিবর্তে লেনদেন শুরুর দিন থেকে গণনা করা হবে, আইপিওতে ফিক্সড প্রাইস মেথডে কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা ও বুক বিল্ডিং মেথডে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করতে হবে, আইপিওতে ফিক্সড প্রাইস মেথডে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কোটা ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ এবং বুক বিল্ডিং মেথডে ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশ করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল।