আগামী ২০১৯-২০ সালের বাজেটে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য যে প্রণোদনা থাকবে তা এখনই প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
সোমবার পুঁজিবাজার সংস্কারের ১২ দফা দাবিতে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের প্রতীকী গণ-অনশনে সমর্থন জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। ২০১০ সালের ধ্বস পরবর্তী সময়ে আপনাদের আন্দোলন সংগ্রামে আমি সংযুক্ত হয়েছিলাম। বাজারের দূরাবস্থায় আবারো আসতে হয়েছে।
অর্থমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে মেনন বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন পুঁজিবাজার এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে। অর্থাৎ তিনি (অর্থমন্ত্রী) পুঁজিবাজারের দর পতনের কারণ খুঁজে বের করেছেন। পুঁজিবাজারের দর পতনের কারণ খুঁজে বের করলে এখনই তার দ্রুত সমাধান করা উচিত।
সিংহের মুখ থেকে ছাগলের বাচ্চাকে রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারের, মন্তব্য করেন মেনন।
গত দশ বছরের ঋণের উল্লম্ফনের তথ্য উপস্থাপন করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, বিগত ১০ বছরে ব্যাংকিং খাতের ঋণ ২৬ হাজারে কোটি টাকা থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। নতুন করে ঋণ খেলাপিদের ৯ শতাংশ হারে ঋণ শোধের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নিয়মিত ঋণ পরিশোধকারীদের ১৩ থেকে ১৫ শতাংশ শোধ দিতে হয়।
বিএসইসি চেয়ারম্যান আইন লঙ্ঘন করে কিভাবে ক্ষমতায় আছেন তা খুঁজে বের করার কথা বলে মেনন বলেন, সংসদে আইন পাশ করি আমরা, কিন্তু তিনি কিভাবে আইন বহির্ভূতভাবে এ পদে রয়েছেন তা এখনই খুঁজে বের করা উচিত।
সংগঠনের সভাপতি একেএম মিজান-উর-রশিদ বলেন, বস্তা পচা আইপিও দিয়ে পুঁজিবাজারকে সর্বশান্ত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন। আমরা তার পদত্যাগ সহ ১২ দফা দাবিতে প্রতীকী গণ-অনশন করেছি।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ ও ২০১০ সালের মহাধ্বসের সাথে জড়িতদের শাস্তি না হওয়ায় বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। জানুয়ারির পর থেকে অব্যাহত দর পতনে বাজারের বিনিয়োগকারীদের পোর্টফলিও খালি হয়েছে। যারা মার্জিন ঋণ নিয়ে ব্যবসা করে তাদের অবস্থা আরো খারাপ। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ধ্বস পরবর্তী সময়ে পুঁজি ফিরে পেতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীর প্রথম গণ অনশন করেছিল।