Decision Maker

বিক্রির চাপে উভয় বাজারে সূচকের টানা পতন

 সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে উভয় বাজারে নেতিবাচক গতিতে লেনদেন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব সূচকের পতনের পাশাপাশি বেশিরভাগ শেয়ারদর ও লেনদেনে পতন হয়েছে। বাজেট ঘোষণার আগে ৯ কার্যদিবস ধরে সূচকের টানা উত্থান হয়। বাজেট ঘোষণার পর প্রথম কার্যদিবসেই বিক্রির চাপে টানা পতন নেমে আসে সূচকে। শেষ পর্যন্ত প্রধান সূচকের ৪৩ পয়েন্ট পতন হয়। বাকি দুই সূচকেও পতন হয়। ডিএসইতে ৫৮ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। দর বেড়েছে ২৮ শতাংশ কোম্পানির। অন্যদিকে চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক শেয়ারদর ও লেনদেনে একই চিত্র লক্ষ করা যায়।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৩ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৯ শতাংশ কমে পাঁচ হাজার ৪৩০ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করে।
ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক আট দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৯ শতাংশ কমে এক হাজার ২৩৫ দশমিক ৪০ পয়েন্টে অবস্থান করে। আর ডিএস৩০ সূচক ১৩ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৭১ শতাংশ কমে এক হাজার ৯০৫ দশমিক ০৯ পয়েন্টে অবস্থান করে। গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধন চার লাখ ৩৬০ কোটি টাকা হয়। ডিএসইতে গতকাল লেনদেন হয় ৫৩৪ কোটি ৩১ লাখ ৯ হাজার ২৬ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৭২ কোটি ৫০ লাখ ৪৮ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসেবে লেনদেন কমেছে ৩৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এদিন ১৫ কোটি ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৬৯টি শেয়ার এক লাখ ৫৪ হাজার ৬৬৮ বার হাতবদল হয়। লেনদেন হওয়া ৩৪৯ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৮টির, কমেছে ২০১টির ও অপরিবর্তিত ছিল ৫০টির দর।
গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে জেএমআই সিরিঞ্জ। কোম্পানিটির ২৩ কোটি টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে ৩৭ টাকা ২০ পয়সা। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইউনাইটেড পাওয়ারের ১৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দর বেড়েছে সাত টাকা ৫০ পয়সা। ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ১২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর কমেছে এক টাকা ৩০ পয়সা। এরপরের অবস্থানে থাকা বিবিএস কেব্লসের ১২ কোটি ৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর কমেছে এক টাকা ৮০ পয়সা। এছাড়া নিউ লাইন ক্লোথিংয়ের ১০ কোটি ৩৫ লাখ টাকার, ড্রাগন সোয়েটারের আট কোটি ২২ লাখ টাকার, ইস্টার্ন কেব্লসের আট কোটি ১৬ লাখ টাকার, নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্সের সাত কোটি ২৪ লাখ টাকার, সিলকো ফার্মার ছয় কোটি ৮৮ লাখ টাকার, বিএটিবিসির ছয় কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্স। এরপরে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের দর ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, সোনালী আঁশের দর আট দশমিক ৭৪ শতাংশ, বিডি অটোকারের দর আট দশমিক ৭৩ শতাংশ, আরএন স্পিনিংয়ের দর সাত দশমিক ৯৩ শতাংশ, অ্যাম্বি ফার্মার দর সাত দশমিক ৪৯ শতাংশ, জেএমআই সিরিঞ্জের দর সাত দশমিক ৪৮ শতাংশ, প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের দর সাত দশমিক ৩০ শতাংশ, সিলকো ফার্মার দর সাত দশমিক ১৭ শতাংশ ও নিউলাইন ক্লোথিংয়ের দর ছয় দশমিক ৯৫ শতাংশ কমেছে।
অন্যদিকে ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ কমে দরপতনের শীর্ষে উঠে আসে বে লিজিং।
সিএসইতে গতকাল সিএসসিএক্স মূল্যসূচক ৮৪ দশমিক ১৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৮২ শতাংশ কমে ১০ হাজার ৭৩ দশমিক ৬১ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৪০ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৩ শতাংশ কমে ১৬ হাজার ৬২৪ দশমিক ৪৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। গতকাল সর্বমোট ২৬৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৩টির, কমেছে ১৭০টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৫টির দর।
সিএসইতে এদিন ২৯ কোটি ২৫ লাখ ৮৭ হাজার ১২৭ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৪ কোটি ১৯ লাখ ৩৪ হাজার ৫৮৬ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে লেনদেন কমেছে চার কোটি ৯৩ লাখ টাকা। সিএসইতে গতকাল লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করে মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটির চার কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এরপর সিলকো ফার্মার তিন কোটি ১১ লাখ টাকার, রানার অটোর এক কোটি ৬০ লাখ টাকার, উত্তরা ব্যাংকের ৯৪ লাখ টাকার, ড্রাগন সোয়েটারের ৮৩ লাখ টাকার, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ৭৯ লাখ টাকার, ডরিন পাওয়ারের ৭০ লাখ টাকার, এসকোয়ার নিটের ৬৯ লাখ টাকার, স্কয়ার ফার্মার ৫১ লাখ টাকার এবং আরএন স্পিনিংয়ের ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।

Exit mobile version