পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ব্যাংকের বিনিয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধি, সহজ শর্তে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ঋণ সহায়তা দেওয়া এবং আসছে বাজেটে বিশেষ প্রণোদনা রাখছে সরকার। এসব সুসংবাদের পরেও গত সপ্তাহের অধিকাংশ কার্যদিবসেই দর পতনে ভুগছে পুঁজিবাজার।
কিন্তু চলতি সপ্তাহে ইতিবাচক উত্থানে ফিরেছে পুঁজিবাজার। সপ্তাহের প্রথম ও দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের নাম মাত্র উত্থান হলেও মঙ্গলবার সূচক ও লেনদেনে উল্লম্ফন দেখেছে বিনিয়োগকারীরা। দিনশেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক বেড়েছে ৭৫.২১ পয়েন্ট। এছাড়া চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক বেড়েছে ১৫০.৮৫ পয়েন্ট।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো (ব্যাটবিসি) ও গ্রামীণফোনের শেয়ার দরের উল্লম্ফনে সূচক প্রকম্পিত হয়েছে। দিনশেষে ব্যাটবিসি’র শেয়ার দর ৫.৭৭ শতাংশ বাড়ার মধ্যে দিয়ে ডিএসই’র সার্বিক মূল্যসূচক বেড়েছে ২১.০২ পয়েন্টে।
এসময় ব্যাটবিসির শেয়ার দর ১৩২৪.৯ টাকায় স্থিতি পেয়েছে। এদিন কোম্পানিটির প্রারম্ভিক মূল্য ১২৬৪.৯০ টাকা হলেও দিনশেষে কোম্পানিটির সমাপনী শেয়ার দর ছিল ১৩৩১.৩০ টাকা। এসময় কোম্পানিটির ৮১ হাজার ৫৯৯টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার গ্রামীণফোনের শেয়ার দর বেড়েছে ২.৭০ শতাংশ বা ৯.২ টাকা। কোম্পানিটির শেয়ার দরের উত্থানে ডিএসই’র সার্বিক মূল্যসূচক বেড়েছে ১৮.৬৭ শতাংশ। এসময় কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ৩৫০.৩০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। দিনশেষে কোম্পানিটির ১ লাখ ৮০ হাজার ৩৫৭টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
মঙ্গলবার দিনশেষে সূচকের উত্থানে ভূমিকা রেখেছে- স্কয়ার ফার্মা, ইউনাইটেড পাওয়ার, ব্র্যাক ব্যাংক, বার্জার পেইন্টস, অলেম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
বাজার বিশ্লেষনে আরো দেখা যায়, ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২২৫টির দর, দর বেড়েছে ৭০টির প্রতিষ্ঠানের ও দর অপরিবর্তিত ছিল ৫৪ টি প্রতিষ্ঠানের। এসময় ডিএসইতে ৪০৩ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।