বাংলাদেশ ব্যাংকের পর পুঁজিবাজারকে সাপোর্ট দিতে এবার মাঠে নেমেছে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। পুঁজিবাজারে তারল্য সরবরাহ বৃদ্ধি করতে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা আইসিবি ইউনিট ফান্ডের পরিপূর্ণ কার্যক্রম পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান আইসিবি। দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম বে-মেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ড আইসিবি ইউনিট ফান্ডের ইউনিট ক্রয় দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। যাদের হাতে এই ফান্ডের ইউনিট রয়েছে তারা আইসিবি’র কাছে সারেন্ডার করে অর্থ উত্তোলন করতে পারে। কিন্তু কেউ এই ফান্ডের ইউনিট ক্রয় করতে পারে না। তাই এই ফান্ডের ইউনিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সকল বিনিয়োগকারীদের জন্য উন্মুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে আইসিবি। এতে করে এই ইউনিট ফান্ডের যে পরিমাণ অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ রয়েছে তার সঙ্গে আরো নতুন ফান্ডে যুক্ত হবে। বিক্রয়কৃত ইউনিটের টাকা আইসিবি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে একদিকে বাজারের তারল্য সংকট কাটাবে অন্যদিকে ফান্ডের ইউনিটহোল্ডারদের যথারীতি আকর্ষণীয় ডিভিডেন্ড প্রদান করবে।
এ ব্যাপারে আইসিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আবুল হোসেন জানিয়েছেন, ক্যাপিটাল মার্কেটে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য আমরা আইসিবি ইউনিট ফান্ডের ক্রয়-বিক্রয় সকল বিনিয়োগকারীদের জন্য উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদনের পরে পরবর্তী কার্যক্রম চালু হবে। যেসব বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘমেয়াদে ক্যাপিটাল মার্কেটে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা রয়েছে তারা এই ইউনিট ফান্ডে বিনিয়োগ করে ডিভিডেন্ডের মাধ্যমে লাভবান হবেন বলে তিনি জানান।
আইসিবি সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮১ সালের ১০ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হওয়া আইসিবি ইউনিট ফান্ডের বর্তমান সাইজ ৫০০ কোটি টাকা। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কাছে ইউনিট বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ মার্কেটেবল সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে ফান্ডটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিবছর ফান্ডটির ইউনিটহোল্ডাররা আকর্ষণীয় ডিভিডেন্ড পেয়ে আসছেন। ফান্ডটির আরেকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কিউমুলেটিভ ইনভেস্টমেন্ট প্লান (সিআইপি)। অর্থাৎ ইউনিটহোল্ডাররা চাইলে তাদের ডিভিডেন্ডের অর্থ না নিয়ে পুনরায় বিনিয়োগ করতে পারে।
কিন্তু এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) শর্তানুযায়ী দীর্ঘদিন ধরে ফান্ডটির ইউনিট বিক্রি বন্ধ রেখেছে আইসিবি। বিদ্যমান ইউনিট হোল্ডাররা চাইলে তাদের হাতে থাকা ইউনিট আইসিবির কাছে সারেন্ডার করতে পারে কিন্তু কেউ নতুন করে ক্রয় করতে পারে না। অর্থাৎ ফান্ডটির ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এজন্য এই ফান্ডটির কার্যক্রম পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে আইসিবি। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পাওয়ার পরপরই ফান্ডটির কার্যক্রম চালু করে পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়াতে পারবে প্রতিষ্ঠানটি।