Decision Maker

রোববার থেকে পুঁজিবাজারে আসছে ব্যাংকের বিনিয়োগ

বিনিয়োগসীমা অনুযায়ী দেশের ব্যাংকগুলো রোববার থেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য উৎসাহ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

গত বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমনের সঙ্গে নিজস্ব কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে এসব জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন।

ইমন বলেন, বিএসইসি চেয়ারম্যান গত ৪ সেপ্টেম্বর অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। এসময় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি শেয়ারবাজার নিয়ে সজাগ আছেন। সবসময় খোজঁ খবর রাখেন। এরইমধ্যে শেয়ারবাজারের চলমান তারল্য সংকট কাটাতে ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগসীমা অনুযায়ি বিনিয়োগের জন্য উৎসাহ প্রদান ও আহ্বান করেছেন। একইসঙ্গে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে সব পদক্ষেপ নেবেন বলে বিএসইসির চেয়ারম্যানকে আশ্বস্ত করেছেন। আর এই উৎসাহ ও আহ্বানের সুফল শেয়ারবাজারে আগামি সপ্তাহ থেকে পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর বর্তমানে গড়ে বিনিয়োগসীমার ১৭ শতাংশের নিচে বিনিয়োগ রয়েছে। এক্ষেত্রে অনেক ব্যাংকের বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। আর ওইসব ব্যাংকগুলোকেই বিনিয়োগের জন্য আহ্বান করা হয়েছে।

এর আগে ওইদিন সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ রুলস ১৯৮৭ এর সংশোধনীর বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) এর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে বসে কমিশন। এতে স্টেকহোল্ডাররা তাদের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন বলেন, পতনের এ ধারা চলতে থাকলে শেয়ারবাজার আরও নাজুক হয়ে পড়বে। তখন শুধু সেকেন্ডারি বাজার নয়, প্লেসমেন্ট ও আইপিওতেও বিনিয়োগকারীদের দেখা মিলবে না। সেকেন্ডারি বাজারে কাঙ্ক্ষিত দর না পেলে কেউ এসব শেয়ার কিনবেন না। তখন সংকটও প্রকট হবে। এমন ধারা চলতে থাকলে ভালো কোম্পানির উদ্যোক্তারাও শেয়ারবাজারে আসতে আগ্রহী হবেন না। যা কমিশন গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন।

মিনহাজ ইমন বলেন, আলোচনায় আমরা সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ রুলস ১৯৮৭ এর সংশোধনীর বিষয়ে মতামত তুলে ধরেছি। এখন কমিশন মতামতগুলোকে বিবেচনায় নিয়ে সংশোধনী তৈরী করবে। এবং ওই সংশোধনী নিয়ে কমিশন আরেক দফায় স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। এরপরে আইনটির সংশোধনী চূড়ান্ত করার আগে জনমত জরিপ নেওয়া হবে।

Exit mobile version