বাংলাদেশে স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেকহোল্ডার (ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) লাইসেন্স নিয়ে শেয়ার ব্যবসা করতে চায় ৬ বিদেশি কোম্পানি। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলো ডিএসই’র কাছে ট্রেকহোল্ডারের লাইসেন্সের জন্য তাদের আগ্রহ প্রকাশ করে লেটার অব ইনট্যান্ট (এলওআই) পাঠিয়েছে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদনের পর প্রতিষ্ঠানগুলো ট্রেক লাইসেন্স নিয়ে শেয়ার ব্যবসা করতে পারবে বলে ডিএসই সূত্রে জানা গেছে।

জানা যায়, যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইজিএফ প্রাইভেট ব্যাংক, সিডিএফ লন্ডন, ব্ল্যাক রক এবং এবারডিন অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ডিএসই’র ট্রেকহোল্ডারের লাইসেন্স নেওয়ার জন্য এলওআই পাঠিয়েছে। এছাড়া ডিএসই’তে এলওআই পাঠিয়েছে চায়নার সিআইটিআইসি সিএলএসএ সিকিউরিটিজ এবং ইউএসএ’র গোল্ডম্যান সাচস গ্রুপ।

জানা গেছে, বর্তমানে ডিএসই’র ট্রেকহোল্ডারের সংখ্যা ২৫০। নতুন করে ট্রেক ইস্যুর ক্ষেত্রে ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন, ২০১৩ এর ১৬ (৫) ধারায় বলা হয়েছে, ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশনের তারিখ হতে ৫ বছর অতিক্রম করার পর ট্রেকহোল্ডারদের যোগ্যতা পরিপালন সাপেক্ষে নির্ধারিত পদ্ধতিতে কোনো আবেদনকারীর অনুকূলে ট্রেক ইস্যু করা যাবে।

ইতিমধ্যে ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশনের ৫ বছর শেষ হয়েছে। অর্থাৎ নতুন ট্রেক ইস্যুর ক্ষেত্রে আইনের কোনো বাধা নেই। তবে নতুন ট্রেকহোল্ডারের লাইসেন্সের জন্য কমিশনের অনুমোদন লাগবে তাই নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের পরই নতুন ট্রেকহোল্ডারের লাইসেন্স দেওয়া হবে।

অন্যদিকে নতুন ট্রেক ইস্যুর ক্ষেত্রে আলাদা কোনো আইন বা নির্দেশনা এখনো প্রণয়ন করেনি বিএসইসি। তবে স্টক এক্সচেঞ্জের নতুন ট্রেকহোল্ডারদের লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে আইন প্রণয়ের উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি।

শিগগিরই আইনটি জনমত জরিপের জন্য প্রকাশ করা হবে। আর আইন প্রণয়ের পরপরই নতুন ট্রেক ইস্যু করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।