Decision Maker

১৬ কোম্পানির ডি-লিস্টিংয়ের সিদ্ধান্ত কাল

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৬ কোম্পানিকে তালিকাচ্যুতির বা ডি-লিস্টিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে আগামীকাল ১১ জুলাই। নিয়ম অনুযায়ী বিনিয়োগকারীদের ৫ বছরের বেশি ডিভিডেন্ড বা লভ্যাংশ না দেওয়ায় এবং ৩ বছরের বেশি সময় ধরে উৎপাদন না থাকার কারণে এগুলোকে তালিকাচ্যুতির জন্য অনেকদিন ধরেই রি-ভিউয়ে রেখেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।এসব কোম্পানি ডি-লিস্টিং করা হবে কিনা বা বিকল্প কোন পদক্ষেপ নেয়া হবে কিনা, সে বিষয়ে আগামীকাল সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লিস্টিং রেগুলেশন, ২০১৫ এর ৫১ (১) (সি)আইনের আওতায় রিভিউ করা হচ্ছে- মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, বিচ হ্যাচারী লিমিটেড ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেড,মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, দুলামিয়া কটন স্পিনিং, সমতা লেদার কমপ্লেক্স, শ্যামপুর ‍সুগার মিলস, জিলবাংলা সুগার মিলস, ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ইন্ডাস্ট্রিজ, সাভার রিফ্যাক্টরীজ, বেক্সিমকো সিনথেটিকস, জুট স্পিনার্স, শাইনপুকুর সিরামিকস, সোনারগাও টেক্সটাইল এবং ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্ক।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লিস্টিং রেগুলেশন, ২০১৫ এর ৫১ (১) (সি) এই আইনে বলা হয়েছে, যদি কোনো ইস্যুয়ার স্বেচ্ছায় কিংবা আদালতের নির্দেশে লিক্যুইডেশনে যায় অথবা টানা ৩ বছর ব্যবসায়িক উৎপাদন বন্ধ থাকে তাহলে সে ইস্যুয়ারকে তালিকাচ্যুত করা যেতে পারে।

এছাড়া এই আইনে কোনো কোম্পানিকে ডি-লিস্টিং করার জন্য চারটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। কোনো কোম্পানি যদি ৫ বছর ধরে ডিভিডেন্ড না দেয়, যদি কোনো কোম্পানি টানা তিনটি বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে ব্যর্থ হয়, কোম্পানির স্বেচ্ছায় বা কোর্টের মাধ্যমে অবসায়ন বা তিন বছর ধরে উৎপাদন বন্ধ থাকে এবং তিন বছর ধরে স্টক এক্সচেঞ্জের লিষ্টিং ফি পরিশোধ না করে তাহলে ডিএসই চাইলে কোম্পানিকে ডি-লিস্টিং করতে পারে।

Exit mobile version