দেশের সব বীমা কোম্পানিকে তিন মাসের মধ্যে পুঁজিবাজারে আসতে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আর যদি না আসে তাহলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলেও জানিয়েছে তিনি।

রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনইসি সম্মেলন কক্ষে বীমা প্রতিষ্ঠানসমূহের চেয়ারম্যান ও নির্বাহী পরিচালকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, যদি বীমা কোম্পানিগুলো তিন মাসের মধ্যে পুঁজিবাজারে না আসে তাহলে প্রাথমিকভাবে তাদের লাইসেন্স স্থগিত করা হবে। প্রয়োজনে কিছুদিন সময় বাড়ানো যেতে পারে। এরপরেও যদি না আসে তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মুস্তফা কামাল বলেন, বীমা খাত একটি শক্তিশালী খাত। এখাতে আমরা অনেক গতিশীলতা নিয়ে এসেছি। অর্থনীতির সাথে বিমাখাত জড়িত। বীমা খাত ও পুঁজিবাজার একটি মৌলিক এলাকা। আর বর্তমানে বীমা খাতের ৪৭টি প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে রয়েছে। বাকি যে আরো ২৮টি কোম্পানি রয়েছে তাদেরকে আগামী তিন মাসের মধ্যে পুঁজিবাজারে আসতে হবে। আর যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে গেছে এবং যাবে তাদের কারও যেন শেয়ারের দাম ফেস ভ্যালুর নিচে না নামে সেদিকেও নজর রাখা হবে।

তিনি বলেন, আজকে আমাদের বিমা খাত অনেকটা এগিয়েছে। তবে আমাদের অর্থনীতি যতটা এগিয়েছে বিমাখাত ততটা এগোয়নি। বীমা খাতে গ্রাহকের যাতে আস্থার সঙ্কট না থাকে সেজন্য প্রতিটি বীমা কোম্পানির ডাটাবেজ তৈরি করা হবে।

জিডিপিতে আমরা সবার থেকে এগিয়ে আছি। আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত আমরাই লিড দেব। আর আমরা যেসব বাসা বাড়িতে থাকি, যেখানে অফিস করি অর্থাৎ সকল ধরনের প্রতিষ্ঠান বীমা খাতের আওতায় আনতে হবে। এতে সকলের জীবনের সিকিউরিটি বাড়বে বলেও মনে করেন অর্থমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বীমা খাতের কিছু সমস্যা তুলে ধরেন বিভিন্ন বীমা খাতের কর্মকর্তারা। তারা বলেন, বাংলাদেশের বীমা শিল্প দীর্ঘ সময় অবহেলিত থাকার ফলে বিভিন্ন সমস্যা থাকায় অন্যান্য আর্থিক খাতের ন্যায় অগ্রসর হতে পারেনি।