Decision Maker

অবশেষে জানা গেলো কবে আসছে ই-পাসপোর্ট

কথা ছিল জুলাই মাসে চালু হবে বহুল প্রতীক্ষিত ই-পাসপোর্ট। কিন্তু সেকথা রাখতে পারেনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে আগামী অক্টোবরেই ই-পাসপোর্ট চালু হবে বলে আশ্বা’স দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জার্মানির একটি খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট ও ই-গেট নিয়ে কাজ করছে। জুলাই মাসে ই-পাসপোর্ট চালু করার কথা থাকলেও যন্ত্রপাতি সেটআপসহ বিভিন্ন ছোটখাটো সমস্যা দেখা দিয়েছে। সফটওয়্যার ও যন্ত্রপাতি সেটআপে কিছু ত্রুটি ধ’রা পড়ছে। ফলে অক্টোবরেও চালু করা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্ম-সচিব (বহিরাগমন-১) মো. মুনিম হাসান মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে আম’রা প্রস্তুত আছি। অক্টোবরের মধ্যে চালুর আশা করা যাচ্ছে। যেহেতু অনলাইনে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে সেজন্য নির্ভুল করার চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে আগারগাঁও, এয়ারপোর্ট, উত্তরায় যন্ত্রপাতি বসানোর কাজ চলছে।
জানা গেছে, ই পাসপোর্ট হবে পাঁচ ও ১০ বছর মেয়াদি। দুই ক্যাটাগরির পাসপোর্টের একটি ৪৮ পৃষ্ঠার, আরেকটি ৭২ পৃষ্ঠার। যারা ৭২ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট নেবে তাদের ক্ষেত্রে ফিও বেশি হবে। ইতোমধ্যে পাসপোর্টের প্রয়োজনীয় ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ‘বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ই-পাসপোর্ট দেওয়া হবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় চার হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ২০১৮ সালের জুলাই হতে ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর। ১০ বছরে মোট ৩০ মিলিয়ন পাসপোর্ট তৈরি করা হবে। এর মধ্যে দুই মিলিয়ন তৈরি হবে জার্মানিতে। ফলে প্রথমে যারা আবেদন করবেন তাদের পাসপোর্ট জার্মানি থেকে তৈরি হয়ে আসবে। পাঁচ ও ১০ বছর মেয়াদি হবে পাসপোর্ট।

Exit mobile version