ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ফাইভ – জি দেশে একটা শিল্পবিপ্লব ঘটাবে। এই জন্য এই প্রযুক্তি শহরের চেয়ে গ্রামে বেশী প্রয়োজন হবে। গ্রামে স্বাস্থ্য ও কৃষিতে তা লাগবে।
তিনি বলেন, আমরা গ্রামে মোবাইল ৫জি ওপর নির্ভর না করে বিটিসিএল এর মাধ্যমে যদি ল্যান্ডফোনে ৫জি দিতে পারি তবে জনগণ অনেক বেশী উপকৃত হবে। তিনি এই ব্যাপারে প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন।
শনিবার ঢাকা ক্লাবে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে ও জেডটিই এর সহযোগিতায় বিটিসিএল আয়োজিত আনলকিং পটেনসিয়ালস ফর বেটার ফিউচার শীর্ষক দিনব্যাপী সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডিজিটাল প্রযুক্তি হচ্ছে মূল চালিকা শক্তি। বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের ফলে দেশে ২০২৪ সালের মধ্যে এমন কোন বাড়ি থাকবে না, যে বাড়ীতে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের চাহিদা হবে না। জনগণের দোরগোড়ায় দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে বিটিসিএলসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ কতটা প্রস্তুত তার যথাযথভাবে নিরূপণের মাধ্যমে ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ণের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের একমাত্র লক্ষ্য মুনফা করা নয়। বিটিসিএল এর অনেক কাজ জনসেবায় করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী উদ্ভাবনকে একটি জাতির ভবিষ্যত আখ্যায়িত করে বলেন, প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের ভাবতে হবে সামনের জন্য তারা কতটা প্রস্তুত। যদি চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য আমাদের প্রস্তুতির ঘাটতি থাকে তবে তা পূরণ করতে হবে। না পারলে টিকে থাকা অসম্ভব।
মন্ত্রী বিটিসিএল ল্যান্ডফোনের লাইনরেন্ট বাতিল ও ১৫০ টাকায় যেমন খুশী কথা বলার ঘোষিত প্যাকেজের সুফল তুলে ধরে বলেন, এখন ল্যান্ডফোনের চাহিদা প্রতিদিনই বাড়ছে। লাইন মেরামতসহ সেবারমান নিশ্চিত করতে পারলে বিটিসিএল ঘুরে দাঁড়াবেই।