Decision Maker

বাজার কি একটি পরিবর্তনের জন্য এমন ফেলানো হচ্ছে!

কোথাও একটি পরিবর্তন খুব জরুরী হয়ে পড়েছে চেষ্টার এমন কোনো পথ বাকি নেই যা এরই মধ্যে করা হয়নি শর্ট কোর্স মিডিয়াম কোর্স এবং লং কোর্স কোনোটিই বাকি নেই সিএসই, ডিএসই, ডিবিএ, বিএসইসি, আইসিবি, অর্থমন্ত্রী এবং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও চেষ্টার কোনো ত্রুটি করেছেন বলে মনে আসছে না সর্বশেষ অর্থ মন্ত্রনালয়ের একজন সচিবের উস্থাপনায় সবপক্ষীয় অর্থমন্ত্রীর বৈঠকও ব্যর্থ হয়েছে বাজার ওঠাতে যে চারটি কাজ এখনো বাকি আছে তার একটি ফিরিস্তি আমার গতকালকের লেখায় দিয়েছিলাম তাই ওদিকে আর না গিয়ে আজ সাধারন এবং অসাধারন উভয় পদের বিনিয়োগকারীদের একটি দাবীর দিকে কর্তৃপক্ষের মনোযোগ আকর্ষণ করতে চাই আর তাদের সেই দাবীটি হলো একটি বড় ধরনের পরিবর্তন

অনেকেই মনে করছেন, বাজার সংস্কারের অংশ হিসাবে যখন পুঁজিবাজারে বাজার বিশেষজ্ঞদের না বসিয়ে জ্ঞানীগুনী সম্মানীয় ব্যাক্তিদের বসানো হয়েছে সেদিন থেকেই এই বাজারে দুর্গতি শুরু হয়েছে। ওই বিনিয়োগকারীদের ধারনা ছিলো, সরকার পুঁজিবাজারের জন্য পুঁজিবাজারের লোক খুজে পদে বসাবেন। কিন্তু পুঁজিবাজারের পদগুলো যখন শ্রদ্ধাভাজন ব্যাক্তিদের এনে বসানো হয়েছে তখন ওই বিনিয়োগকারীরা আস্তে আস্তে পিছিয়ে যেতে শুরু করেন। তারা বাজার বিষয়ে অভিজ্ঞ নতুন অর্থমন্ত্রীর নিয়োগে খুশি হয়েছিলেন এবং ভেবেছিলেন উনি এসেই অথর্ব এবং বাজারের জন্য অযোগ্য লোকগুলোকে চিহ্নিত করে সরিয়ে ফেলতে পারবেন। কিন্তু মন্ত্রী যখন বুঝলেন, অযোগ্য জ্ঞানীগুনি পদধারীরা আসল জায়গায় তার মন্ত্রীত্বের চেয়েও বেশি শক্তিধর তখন তিনিও পিছিয়ে গেলেন এবং একটি কাজ বাদে(পরিবর্তন) আর সব কাজ চালিয়ে যেতে থাকলেন। তিনি পিছিয়ে গেলেও সেই সাধারন এবং অসাধারন বিনিয়োগকারীদের কেউই এখনো হাল ছাড়েননি তারা যেভাবে পারেন পরিবর্তন একটি করেই ছাড়বেন। কিন্তু তারা এই দেশে সবকিছু চাইলেই তো আর পারবেননা। একটি পদে ন্যায্যত আর অন্যায্যত রাষ্ট্র যে কোনো ব্যক্তিকে বার কেনো বার বসালেও কারো কিছু করার নেই। বিনিয়োগকারীরা তো ইচ্ছে করলেই এরকম শক্তিধর কাউকে সরাতে পারবেন না। তাই তারা তাদের মনের কষ্ট দূর করার জন্য এবং অযোগ্যদের সরিয়ে যোগ্যদের আনার জন্য বাজারকে পুকুর থেকে খালে খাল থেকে নদীতে নদী থেকে সাগরে ভাসিয়ে দিচ্ছেন

এতে হাজার হাজার বিনিয়োগকারী মারা পরছেন,তাদের মূলধনের সর্বনাশ হয়ে যাচ্ছে এটা জেনেও তারা তা করছেন। তাদের উদ্দেশ্য,বৈঠক করেও যখন ব্যর্থ হচ্ছেন তখন অযোগ্যরা যেনো অন্তত স্বেচ্ছায় পুঁজিবাজারের পদগুলো ছেড়ে দিয়ে তাদের পূর্বের সম্মানীয় জায়গাগুলোতে ফেরত যান। বাজারের ভার বাজার সংশ্লিষ্ট লোকের হাতে যেনো ছেড়ে দিয়ে যান।বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাজারের নিয়ন্ত্রন ভার যতদিনে বাজার সংশ্লিষ্টদের হাতে না যাবে ততদিন বাজার আর ভালো হবে বলে মনে হচ্ছেনা

এদিকে আজকের বাজার বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, গতকালের মতো আজও একটি মাঝারি পতনে বাজার প্রায় বছর আগের সূচকে ফিরে গেছে। সোমবার বৈঠকের পর দুদিন বাজার গেলো, এর মধ্যে মঙ্গলবার কমেছে ৩১ পয়েন্ট আর আজ কমলো ৪১ পয়েন্ট। দুই স্টকেই আজ সূচক কমেছে সমান তালে। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ইউনিট দর। তবে এদিন সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমলেও ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে

জানা গেছে, আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে হাজার ৮৮৮ পয়েন্টে। ডিএসইর এই সূচকটি বছর মাস দিন বা ৬৭৭ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে গেছে। এর আগে ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ডিএসইএক্স সূচক আজকের থেকে কম স্থানে অবস্থান করছিল। ওই দিন ডিএসইএক্স সূচক ছিল হাজার ৮৬৯ পয়েন্টে। আজ ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৬ পয়েন্ট ডিএসই৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৩১ ১৭৩৬ পয়েন্টে। ডিএসইতে আজ ৩৭১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৩৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার। অর্থাৎ আজ ডিএসইতে লেনদেন ৬৪ কোটি লাখ টাকা বেশি হয়েছে

ডিএসইতে আজ ৩৫২টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৭টির বা ২৮ শতাংশের শেয়ার ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ২১৪টির বা ৬১ শতাংশের এবং ৪১টি বা ১১ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। টাকার অংকে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল টিউবসের। এদিন কোম্পানিটির ২০ কোটি লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা মুন্নু জুট স্টাফলার্সের ১৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকার এবং ১৫ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে আসে স্কয়ার ফার্মা

ডিএসইর টপটেন লেনদেনে উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে : সিনো বাংলা, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, স্টাইলক্রাফট, জেএমআই সিরিঞ্জ, ফরচুন সুজ, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স এবং ইউনাইটেড পাওয়ার

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১০১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৮৪৯ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৬২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৭০টির, কমেছে ১৬২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির দর। আজ ৩৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার ইউনিট লেনদেন হয়েছে

Exit mobile version