Decision Maker

যে কারনে রিং সাইন টেক্সটাইলের লেনদেন শুরু হচ্ছে না

নতুন কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়া বা কমায় নতুন প্রণীত সার্কিটের জটিলতায় রিং সাইন টেক্সটাইলের শেয়ার লেনদেন শুরু নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। কোন কোম্পানির ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত পর্ষদ সভার পরে কার্যদিবসে উত্থান-পতনের সীমা (সার্কিট ব্রেকার) থাকে না। কিন্তু বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নতুন কোম্পানিগুলোর লেনদেনের প্রথমদিনে তা আরোপ করেছে। ফলে ডিভিডেন্ড ঘোষণার পর সার্কিট থাকবে কিনা তা নিয়ে ডিএসই সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না।

জানা গেছে, গত ২০ নবেম্বর রিং সাইনের পরিচালনা পর্ষদ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। যাতে নিয়ম অনুযায়ী, ওইদিনের পরে যেদিন শেয়ারটি লেনদেন হবে, সেদিন সার্কিট ব্রেকার থাকবে না। কিন্তু গত ১৪ নবেম্বর বিএসইসি এক নির্দেশনায় যেকোন নতুন শেয়ারের লেনদেনের প্রথমদিনে সার্কিট ব্রেকার আরোপের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

ফলে রিং সাইনের লেনদেনের প্রথমদিনে এক নির্দেশনায় সার্কিট ব্রেকার না থাকলেও আরেক নির্দেশনায় আরোপ করতে হবে। এই উভয় সঙ্কটের কারণে গত সপ্তাহে লেনদেন শুরুর সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ডিএসইর ম্যানেজমেন্ট। সবকিছু ঠিকঠাক থাকার পরেও তারা লেনদেন শুরু বিলম্ব করতে বাধ্য হচ্ছে। এই অবস্থায় করণীয় নিয়ে বিএসইসির কাছে মতামত চাইতে পারে ডিএসই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসইর এক কর্মকর্তা বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকার পরেও আমরা চাইলেই এখন রিং সাইনের লেনদেন চালু করতে পারছি না। শেয়ারটি লেনদেনের প্রথমদিনে সার্কিট ব্রেকার থাকা, না থাকা নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফলে বিষয়টি সমাধানে বিএসইসির কাছে মতামত চাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে বিএসইসি চাইলে রিং সাইনের ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকারের যেকোন একটি নির্দেশনা শিথিল করতে পারে। তখন লেনদেন চালু করতে সমস্যা হবে না।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, লেনদেনে থাকা কোম্পানিগুলো সার্কিট ব্রেকারের মধ্যে থাকে। কিন্তু ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত সভার পরে তা স্বাভাবিকভাবেই উঠে যায়। এ নিয়ে কারও কোন সমস্যায় পড়তে হয় না। ঠিক একইভাবে লেনদেন শুরু না হলেও রিং সাইন এক প্রকার সার্কিট ব্রেকারের মধ্যে রয়েছে। যেহেতু ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেহেতু স্বাভাবিকভাবেই সার্কিট ব্রেকার উঠে যাবে।

Exit mobile version