Decision Maker

শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পেল পাওয়ার গ্রীড

শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পেল পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাওয়ার গ্রীড লিমিটেড।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭০৮তম নিয়মিত সভায় কোম্পানিটিকে মোট ২৫১ কোটি ৮১ লাখ ৪০ হাজার টাকা সংগ্রহের অনুমোদন দেয়া হয়।

বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মো. সাইফুর রহমান সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে মোট ২৫ কোটি ১৮ লাখ ১৪ হাজার শেয়ার পাওয়ার ডেভোলপমেন্ট বোর্ডের (পিডিবি) অনুকূলে ইস্যু করবে পাওয়ার গ্রীড। এজন্য কোন নগদ অর্থ পাবে না পাওয়ার গ্রীড। পিডিবির বিদ্যমান বিনিয়োগের (ডিপোজিট ফর শেয়ার) বিপরীতে ভেন্ডরস চুক্তির আওতায় এই শেয়ার ইস্যু করা হবে।

জানা যায়, পাওয়ার গ্রীডের সঙ্গে ২০০২ সালের ভেন্ডরস চুক্তি অনুযায়ি, পিডিবি কোম্পানিটিতে ১৭ কোটি ১৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার ইলেকট্রিসিটি ট্রান্সমিশন লাইন, রিহেবিলিটেশন, স্টেশনের রিনোভেশন, যানবাহন ইত্যাদি সরবরাহ করে। এছাড়া ২০০৭ সালের চুক্তি অনুযায়ি ২৩৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকার ইলেকট্রিসিটি ট্রান্সমিশন লাইন, রিহেবিলিটেশন, স্টেশনের রিনোভেশন, যানবাহন ইত্যাদি সরবরাহ করে। এই দুই চুক্তির মাধ্যমে মোট ২৫১ কোটি ৮১ লাখ ৪০ হাজার টাকার সম্পদ সরবরাহ করে পিডিবি। এজন্য ওই অর্থের সমপরিমাণ শেয়ার ইস্যু করবে পাওয়ার গ্রীড। এরফলে পাওয়ার গ্রীডের একই পরিমাণ পরিশোধিত মূলধন বাড়বে।

বর্তমানে পাওয়ার গ্রীডের পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ৪৬০ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। তবে পিডিবির অনুকূলে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে তা বেড়ে দাড়াঁবে ৭১২ কোটি ৭২ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

উল্লেখ্য, পিডিবির অনুকূলে ইস্যুযোগ্য শেয়ার কৌশলগত বিনিয়োগ হিসাবে লক-ইন থাকবে। যা কমিশনের অনুমোদন ছাড়া বিক্রয় বা হস্তান্তরযোগ্য নয়।

Exit mobile version