Decision Maker

সংকট সমাধানে নজর দিতে হবে মৌলিক বিষয়ে

দৈন্যদশা চলছেই দেশেরই উভয় পুঁজিবাজারে। এরই ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনে চলছে লেনদেন। এদিন লেনদেনের শুরুতে উত্থান থাকলেও কিছুক্ষণ পর সৃষ্ট বিক্রয় চাপে টানা নামতে থাকে সূচক। সোমবার লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘন্টায় সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকেও লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। আলোচিত সময়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে প্রায় ১২০ কোটি টাকা। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রি এবং প্রাইমারি বাজারের তথা প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও বাজারের দৈন্যদশা। অর্থাৎ গত ১০ বছরে আইপিও বাজারে যারা এসেছে। এর বেশির ভাগের দামই বর্তমানে শুরুর দিনের তুলনায় অনেক নিচে। মানহীন নানা কোম্পানিকে বাজারে এনে আমরা প্রাইমারি বাজারটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছি। এর দায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও স্টক এক্সচেঞ্জ উভয়কেই নিতে হবে। কারণ, তাদের দায়িত্ব ছিল বাজারে ভালো কোম্পানি নিয়ে আসার। কিন্তু তারা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়া আছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপক তারল্যসংকট, সুশাসনের অভাব, বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকট আর কারসাজির ঘটনা। কাজেই পুঁজিবাজারের গতি ফেরাতে সমস্যার মৌলিক বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে বলেও মনে করছেন তারা।

এদিকে, আজকের দুপুরের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আজ দুপুর ১২টায় ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪৬৮৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১০৭৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৬২৫ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ৩৪৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৯টির, দর কমেছে ২০১টির এবং দর পরিবর্তীত রয়েছে ৫৪টির। এ সময় টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১১৯ কোটি ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

অথচ এর আগের কার্যদিবস ১২টায় ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ২৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৪৭১১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১০৮১ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৬৩৪ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ১৫২ কোটি টাকা।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ১৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৬৭৩ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ১৭১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৪৫টির, দর কমেছে ১০৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির। আলোচিত সময়ে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৭৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।

Exit mobile version