Decision Maker

সার্কিট নিয়ে বিএসইসির নতুন পরিপত্রঃ ৬ ধাপে ব্রেকার কার্যকরের নির্দেশ

পুঁজিবাজারে চালু হচ্ছে নতুন সার্কিট ব্রেকার। সেকেন্ডারি এবং আইপিও অর্থাৎ প্রাইমারি মার্কেটের জন্য আলাদা আলাদা সার্কিট ব্রেকারের নিয়ম তৈরি করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আর নতুন নিয়ম অনুযায়ী সার্কিট ব্রেকার কার্যকর করতে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আজ ১৪ নভেম্বর এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, পুঁজিবাজারে শেয়ার দর কত পর্যন্ত বাড়তে পারবে বা কমতে পারবে তার একটি লিমিট দেওয়া হয়ে থাকে যাকে সার্কিট ব্রেকার বলে। সেকেন্ডারি মার্কেটে শেয়ার দর ২০০ টাকা পর্যন্ত সার্কিট ব্রেকার হবে ১০%। অর্থাৎ যেসব সিকিউরিটিজের দর ২০০ টাকা পর্যন্ত সেগুলোর দর সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে পারবে বা কমতে পারবে। এছাড়া ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত যেসব সিকিউরিটিজের দর রয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রে ৮.৭৫% সার্কিট ব্রেকার কার্যকর হবে। ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার শেয়ার দরের কোম্পানিগুলোর জন্য সার্কিট ব্রেকার ৭.৫০%। এছাড়া ১০০০-২০০০ পর্যন্ত ৬.২৫% এবং ২০০০-৫০০০ টাকা পর্যন্ত সার্কিট ব্রেকার ৫% কার্যকর হবে। যেসব শেয়ার দর ৫০০০ টাকার ঊর্ধ্বে সেগুলোর জন্য সার্কিট ব্রেকার ৩.৭৫% কার্যকর হবে।

এদিকে প্রাইমারি মার্কেট থেকে অর্থাৎ আইপিও’র কোম্পানির স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেনের প্রথম দিনে ৫০% সার্কিট ব্রেকার বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দ্বিতীয় দিনে সার্কিট ব্রেকার হবে আগের দিনের শেয়ার দরের ৫০%। তৃতীয় দিন থেকে ‍পুঁজিবাজারের অন্যান্য কোম্পানির মতো সার্কিট ব্রেকার কার্যকর হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৫ সালের ১৩ মে সার্কিট ব্রেকার সংক্রান্ত যে নির্দেশনা ছিল তা বাতিল করেছে কমিশন।

Exit mobile version