Decision Maker

স্টক ডিভিডেন্ডে কর প্রত্যাহার চায় বাংলাদেশ চেম্বার

প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি স্টক ডিভিডেন্ড দিলে তার উপর ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে।এছাড়া রিটার্ন আর্নিংয়ের উপরও এ কর প্রস্তাব করা হয়েছে। বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) প্রস্তাবিত এসব কর প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন।

শনিবার বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বিসিআ্ই’র পক্ষে এ দাবী জানায়।

আনোয়ার-উল আলম বলেন, স্টক ডিভিডেন্ড এবং রিটার্ন আর্নিংসের উপর কর প্রত্যাহার না করা হলে পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

তিনি বলেন, একটি কোম্পানি বাজারে আসার পর বিনিয়োগকারীদের জন্য স্টক এবং ক্যাশ দুই ধরনের ডিভিডেন্ডই দিতে হয়। তাছাড়া কোনো কোম্পানি ব্যবসা সম্প্রসারনের লক্ষ্যে অনেক সময় স্টক ডিভিডেন্ড দিয়ে থাকে। ফলে পরবর্তীতে বিনিয়োগকারীদের বেশি ডিভিডেন্ড দিতে পারে। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে স্টক ডিভিডেন্ডের উপর যে কর আরোপ করা হয়েছে তাতে কোম্পানিগুলোর ব্যবসা সম্প্রসারণে প্রতিবন্ধকতা তৈরী হবে। এর ফলে ডিভিডেন্ডের পরিমানও কমে যাবে। আর এভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ‍পুঁজিবাজারে।

এদিকে রপ্তানী বাজেটের দাবী জানিয়েছে বিসিআই। এর মধ্যে রপ্তানী খাতে উৎসে কর  শূণ্য দশমিক ২৫ শতাংশ নির্ধারণ, রপ্তানী খাতে করপোরেট কর  ১০ শতাংশ হারে ধার্য্য করার প্রস্তাব করেছে বিসিআই।

রপ্তানি পণ্যের আন্তর্জাতিক স্বীকৃত  গুণগত মান সনদ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা নিশ্চিত করা,  মেধাস্বত্ত নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা প্রদান করার মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানিপণ্যের মুল্য সংযোজন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা, রপ্তানি বৃদ্ধির সুবিধার্থে সকল রপ্তানি পণ্য খাতে মূসক মুক্ত রেয়াতি হারে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস সংযোগ ও সরবরাহের সংস্থান করা, একক এবং রপ্তানিমুখী গ্রামীণ ও ক্ষুদ্র শিল্প এবং নারী উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে খাত ভিত্তিক যৌথ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বন্ডেড-ওয়্যারহাউজ সুবিধা প্রদান করা, রপ্তানিপণ্য প্রস্তুতকরণে ব্যবহৃত আমদানিকৃত এবং দেশীয় উপকরণের উপর পরিশোধিত সকল শুল্ক ও কর মওকুফ গণ্য করে ফেরত প্রদান করা, রপ্তানি মুখী গ্রামীণ ও ক্ষুদ্র শিল্প এবং নারী উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভেঞ্চার-ক্যাপিটেল ফান্ড হইতে অর্থায়ন করা, বিদেশে প্রদর্শনী বা মেলায় অংশ গ্রহণের ক্ষেত্রে আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান করারও দাবী জানিয়েছে বিসিআই।

আনোয়ার-উল আলম বলেন, ২০২১ সালে আমাদের রপ্তানী লক্ষ্যমাত্রা ৬০ বিলিয়িনে উন্নতি করা সহ ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, মায়ানমার প্রতিযোগি দেশগুলোর সঙ্গে টিকে থাকতে হলে আন্তর্জাতিকভাবে অনুসৃত কৌশল হিসাবে আমাদের একটি সুনির্দিষ্ট রপ্তানি বাজেট অত্যাবশ্যক।

দেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোকে ১৫ শতাংশ হারে আয় কর প্রদান করতে হয়। আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে আরোপিত ১৫ শতাংশ কর প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করেছে বিসিআই। এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে মূসক আইনের ৮২ ও ৮৩ ধারায়- সহকারি কমিশনার বা সহকারি পরিচালক বা তদুর্দ্ধ পদমর্যাদার মূসক কর্মকর্তা ব্যাংক একাউন্ট অপরিচালন যোগ্য (ফ্রিজ) করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্দেশ প্রদান করতে পারবে এবং সরকারি কর্মকর্তা, ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ সহায়তা প্রদানে বাধ্য থাকবে বলে বিধান করা হয়েছে। যা এই আইনের ১১৪ ও ১১৫ ধারার সরাসরি লঙ্ঘন বলে মনে করছেন বিসিআই। তাই ১১৪ ও ১১৫ ধারার বিধান অনুসারে কোন বিচারিক আদালতের নির্দেশনা ব্যতিত এই ৮২ ও ৮৩ ধারা প্রয়োগ করা যাবে না মর্মে বিধান করার দাবী জানিয়েছেন বিসিআই।

Exit mobile version