বিদ্যমান উৎপাদন সক্ষমতা ও ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলের পরিধি বাড়ানোর পাশাপাশি কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পরিশোধে পুঁজিবাজার থেকে ৮৯ কোটি ৯৩ লাখ ২৩ হাজার ৪২৫ টাকা সংগ্রহ করবে গোল্ডেন হারভেস্ট এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এজন্য গত রোববার বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) সংশোধিত রাইট প্রস্তাবে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিয়েছে কোম্পানিটি। এখন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন পেলেই বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে রাইট শেয়ার ইস্যু করে অর্থ সংগ্রহ করবে কোম্পানিটি।

সংশোধিত রাইট প্রস্তাব অনুসারে বিদ্যমান চারটি শেয়ারের বিপরীতে তিনটি রাইট শেয়ার ইস্যু করা হবে। ১০ টাকা ফেসভ্যালুতে বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে ৮ কোটি ৯৯ লাখ ৩২ হাজার ৩৪২টি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৮৯ কোটি ৯৩ লাখ ২৩ হাজার ৪২৫ টাকা উত্তোলন করবে কোম্পানিটি। সংশোধিত রাইট প্রস্তাবে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য গাজীপুরের ভবানীপুরে কোম্পানির কারখানায় গত রোববার ইজিএম অনুষ্ঠিত হয়। ইজিএমে শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির সংশোধিত রাইট শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন। এখন বিএসইসির কাছে সংশোধিত রাইট প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হবে। কমিশনের অনুমোদন পেলে বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করবে কোম্পানিটি। ইজিএমের রেকর্ড ডেট ছিল ৩০ এপ্রিল। বিএসইসির কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর শেয়ারহোল্ডার বাছাইয়ের জন্য আরেকটি রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায়  রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গোল্ডেন হারভেস্টের পর্ষদ। ১০ টাকা ফেসভ্যালুতে বিদ্যমান একটি শেয়ারের বিপরীতে শেয়ারহোল্ডারদের একটি করে রাইট শেয়ার দেয়ার কথা ছিল। সে সময় কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ছিল ১০ কোটি ৯০ লাখ ৮ হাজার ৯০০টি। সে হিসাবে ১০ টাকা ফেসভ্যালুতে  ১ আর: ১ অনুপাতে রাইট শেয়ার ইস্যু করা হলে সংগৃহীত অর্থের পরিমাণ দাঁড়াত ১০৯ কোটি ৮৯ হাজার টাকা।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ সুপারিশ করেছে কোম্পানিটির পর্ষদ। এ সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৪ পয়সা, যা আগের বছরে ছিল ১ টাকা ৮৯ পয়সা। ৩০ জুন এর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৩১ পয়সায়।

হিমায়িত খাবার ও আইসক্রিমের পাশাপাশি দেশের বাজারে ডোমিনোজ পিত্জা বিক্রির সুবাদে ভালো ব্যবসা হয়েছে গোল্ডেন হারভেস্ট এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের। চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই ১৮-মার্চ ১৯) কোম্পানিটির বিক্রয় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আর এ সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৫ দশমিক ১৭ শতাংশ।

২০১৩ সালে তালিকাভুক্ত গোল্ডেন হারভেস্ট এগ্রোর অনুমোদিত মূলধন ২৫০ কোটি টাকা, পরিশোধিত মূলধন ১১৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা। রিজার্ভ ১০৯ কোটি ৫১ লাখ ১০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের ৩৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ এর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রতিষ্ঠান ৪৫ দশমিক ৬৫ ও বাকি ২১ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।