চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) মুদ্রানীতি আগামী ৩০ জুলাই ঘোষণা হবে । বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির মুদ্রানীতি ঘোষণা দেবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধিতে গতি আনা হচ্ছে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে উচ্চ জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথে বড় চ্যালেঞ্জ । এক্ষেত্রে ব্যাংক খাতের চলমান তারল্য সংকট, খেলাপি ঋণের উচ্চ হার ও সরকারি খাতের বাড়তি ঋণের জোগান দেওয়াসহ বেশকিছু বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বিদায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) ঘোষিত মুদ্রানীতির লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি অনেক কম হয়েছে। সর্বশেষ জুন মাসে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১.২৯ শতাংশ। এ খাতের ঋণ জোগানের প্রক্ষেপণ করা হয়েছিল ১৬.৫ শতাংশ।

অন্যদিকে, জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯.১৭ শতাংশ। জুন পর্যন্ত সরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০.৯০ শতাংশ। গত বছরের মে’র তুলনায় চলতি বছরের মে মাসে সরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৭.৪৪ শতাংশ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেসরকারি বিনিয়োগে ধীরগতির মূল কারণ ব্যাংকগুলোর কাছে পর্যাপ্ত তারল্য না থাকা এবং অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা। এছাড়া ঋণ আমানত অনুপাতের (এডিআর) নতুন সীমায় নামিয়ে আনারও চাপ রয়েছে।

এদিকে, গত মার্চ প্রান্তিক শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ ১০ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। কিন্তু ডিসেম্বর (২০১৮) শেষে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ছিল ৯৩ হাজর ৯১১ কোটি টাকা। এ হিসেবে তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৬ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, মোট বিতরণ করা ঋণের মধ্যে ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশই খেলাপি হয়ে গেছে, যা আগের প্রান্তিকে ছিল বিতরণের ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ।

উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরে ঘাটতি বাজেট অর্থায়নের লক্ষ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা ঋণ নিতে চায় সরকার।