আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য আয়কর ছাড়সহ বেশ কিছু প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যদিকে দুয়েকটি ক্ষেত্রে নতুন কর আরোপ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ১৩ জুন, বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এ বাজেট উপস্থাপন করেন। বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী  পুঁজিবাজার সুশাসনে ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় এসব প্রস্তাব করেছেন বলে জানান।

অর্থমন্ত্রী যে যুক্তিই দিয়ে থাকুন না কেন, বাজেটের এসব প্রস্তাবনার সবগুলোই যে বিনিয়োগকারীদের জন্য সুসংবাদ, তেমনটি নয়। কয়েকটি প্রস্তাব তাদের জন্য ইতিবাচক হলেও অন্য কয়েকটি আবার বেশ হতাশাজনক।

প্রস্তাবিত বাজেটে দেওয়া প্রস্তাবগুলো জাতীয় সংসদে পাশ হলেই কেবল সেগুলো কার্যকর হবে। দ্বিতীয়তঃ যেসব প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর বাস্তবায়ন কতটুকু হবে, তা বাস্তবায়নের আগে বলা মুশকিল। তাছাড়া বাস্তবায়ন হলেও সেটি হবে বেশ সময়সাপেক্ষ। তাই এ খবরের ভিত্তিতে কোনো বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে নিজে বিচার-বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

এক নজরে দেখে নেওয়া যেতে পারে প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য কী কী সুসংবাদ ও দুঃসংবাদ রয়েছে-

পুঁজিবাজারের জন্য সুসংবাদ-

০১. করমুক্ত লভ্যাংশ আয়ের সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ।

০২. দেশি-বিদেশি সব বিনিয়োগকারীর ক্ষেত্রে লভ্যাংশ আয়ে দ্বৈতকর প্রত্যাহার।

০৩. পুঁজিবাজারে কোনো রুগ্ন (Sick) কোম্পানিকে আর্থিক দিক দিয়ে কোনো সবল কোম্পানি আত্মীকরণ (অধিগ্রহণ-Takeover) করতে চাইলে বিশেষ বিনিয়োগ সুবিধা (Investment Allowance) দেওয়া।

০৪. পুঁজিবাজারের জন্য প্রণোদনা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি।

০৫. শক্তিশালী বন্ড মার্কেট গড়ে তোলার আশ্বাস।

০৬. বড় প্রকল্পের বীমা স্থানীয় বীমা কোম্পানির সঙ্গে করার বাধ্যবাধকতা আরোপের প্রস্তাব।

০৭. জীবন বীমা খাতকে উৎসাহিত করার পরিকল্পনা।

০৮. সঞ্চয়পত্রের বিক্রি নিয়ন্ত্রণ।

০৯. আবাসান খাত তথা প্লট ও ফ্ল্যাটে অপ্রদর্শিত অর্থ (কালো টাকা) বিনিয়োগের সুযোগ।

১০. চামড়া ও পাদুকা শিল্পের বিকাশে সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস।

পুঁজিবাজারের জন্য দুঃসংবাদ-

০১. বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণায় ১৫ শতাংশ কর আরোপ।

০২.  তালিকাভুক্ত কোম্পানির আয় বছরে রিটেইন আর্নিংস, রিজার্ভ ইত্যাদির সমষ্টি পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি হলে বাড়তি অংশের উপর ১৫ শতাংশ কর আরোপ।

০৩. মোবাইল কোম্পানির ন্যুনতম কর টার্নওভারের দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ শতাংশ করা।