পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতে এবারের বাজেটে আরও কিছু প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া দেশের বন্ড বাজারে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানি বোনাস শেয়ার বা স্টক ডিভিডেন্ডের পরিবর্তে ক্যাশ ডিভিডেন্ড বা ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেবে তাদের কর সুবিধা দেওয়া হতে পারে। ২০১৯-১০ অর্থবছরের বাজেটে এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে। মূলত কোম্পানিগুলোকে তার শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বেশি করে ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদানে উৎসাহিত করতে এ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো বোনাস শেয়ারের পরিবর্তে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিলে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হয় বেশি। এ জন্য বাজেটে কর ছাড়ের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হতে পারে। তবে কী ধরনের সুবিধা দেওয়া হবে, তা বলেননি তিনি।
জানা যায়, বর্তমানে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা ৩৬০টি। এর বেশিরভাগই স্টক ডিভিডেন্ড দেয়। সাধারণত দুর্বল কোম্পানিগুলো স্টক ডিভিডেন্ড দিয়ে থাকে। আবার দেখা যায়, অনেক নামি-দামি কোম্পানি রয়েছে যারা কখনও ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয় না। তার পরিবর্তে বোনাস শেয়ার দেয়। এতে করে বিনিয়োগকারীরা প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যেসব কোম্পানি ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়, তাদের আর্থিক অবস্থা ভালো। আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা রাখে তারা। কর প্রণোদনা দেওয়া হলে ওইসব কোম্পানি ডিভিডেন্ড প্রদানে আরও উৎসাহিত হবে। এদিকে, বন্ডে বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের নামে সরকারি অনুমোদিত বন্ড ক্রয়ের সময় সাড়ে ৩ শতাংশ নিবন্ধন ফি লাগে। এবারের বাজেটে ওই ফি কমিয়ে শূন্য করা হতে পারে। বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একটি করপোরেট বন্ড আছে। এটি ইমলামী ব্যাংকের আইবিবিএল মুদারাবা বন্ড। এটি শুধু লেনদেন হয়। এর বাইরে ২২১টি ট্রেজারি বন্ড আছে। এই বন্ডগুলো লেনদেন হয় না।