টানা ৪ চার কার্যদিবসের দরপতনে ফের অস্থিরতায় পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। আজ সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন লেনদেনের শুরুতে উত্থান থাকলেও ৭ মিনিট পর সেল প্রেসারে টানা নামতে থাকে সূচক। এরই ধারাবাহিকতায় টানা চার কার্যদিবস ধরে পতনে বিরাজ করছে বাজার। সোমবার লেনদেন শেষে সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আজ দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৪২ কোটি ৯০ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।

এরই ধারাবাহিকতায় গত দুই বছর আট মাসের সর্বনিম্ন স্থানে নিচে অবস্থান করছে ডিএসই‘র প্রধান সূচক। গত ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬ ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স অবস্থান করে ৫০২৭.৯১ পয়েন্টে এবং আজ ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সূচক ৩৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৫০৩৩.৫৩ পয়েন্টে।

আজ দিন শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫০৩৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১৭২ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৭৭৫ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৫৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০০টির, কমেছে ২০৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৫টির। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ৪৪২ কোটি ৯০ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।

এর আগের কার্যদিবস দিন শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ২৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৫০৭০ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১১৭৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৭৯১ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৩৩২ কোটি ৪০ লাখ ৮১ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১১০ কোটি ৪৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা।

এদিকে দিন শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক সিএসইএক্স ৫৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ৩৫৫ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৪৭টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫১টির, কমেছে ৩১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ২৭ লাখ ৪৯ হাজার টাকা।