অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। তবে মূল্যস্ফীতির তালিকায় মাত্র একটি দেশের পরেই অবস্থান। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী ২০১৮ সাল শেষে মূল্যস্ফীতি পৌঁছেছে ৫.৪ শতাংশে। দক্ষিণ এশিয়ায় মূল্যস্ফীতিতে শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তান।

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য সেবার মূল্য টাকার অঙ্কে বেড়ে গেলে তাকে মূল্যস্ফীতি বলা হয়। এর ফলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষকে। আয় না বাড়লেও বেশি দামেই তাদের পণ্য কিনতে হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী মার্চ মাস শেষে দেশের মূল্যস্ফীতি ৫.৫৫ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে এ হার ছিল ৫.৪৭ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১৮ সাল শেষে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.৯ শতাংশ। চলতি বছর ৮ শতাংশের ওপরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র মতে ২০১৮ সাল শেষে ভারতের মূল্যস্ফীতি মাত্র ২.২ শতাংশ। তবে ৭ শতাংশের মধ্যে ছিল ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি, যা বাংলাদেশের তুলনায় প্রায় ২ শতাংশ কম।

গত বছর পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতির পরিমাণ ছিল ৬.২ শতাংশ। অন্যদিকে পাকিস্তানের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের তুলনায় অনেকটাই নিচে। আলোচ্য সময়ে দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন ছিল ৫.২ শতাংশ।

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে মূল্যস্ফীতি ১ শতাংশের নিচে থাকা দেশের মধ্যে শ্রীলঙ্কা অন্যতম। ২০১৮ সাল শেষে দেশটির মূল্যস্ফীতি ছিল ০.৪ শতাংশ। এ ছাড়া আফগানিস্তান ও মালদ্বীপের মূল্যস্ফীতি যাথাক্রমে ০.৮ শতাংশ ও ০.১ শতাংশের মধ্যে ছিল। এই অঞ্চলের অন্য দুই দেশ ভুটান ও নেপালের মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ৩.২ শতাংশ ও ৩.৭ শতাংশ, যা বাংলাদেশের তুলনায় অনেকটা কম।