গতকাল থেকে নতুন আউটলেট চালু করেছে দ্য পেনিনসুলা চিটাগং লিমিটেড। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে নতুন আউটলেটটি চালুর ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটির পর্ষদ। নতুন আউটলেটে থাকছে “সেইন্ট’স ক্যাফে” নামে নতুন একটি কফি শপ এবং ‘ওজোন’ নামে একটি বার ও ইন্ডিয়ান বারবিকিউ রেস্তোরাঁ। এছাড়া পেনিনসুলা চিটাগং তাদের মেইন এনট্রান্স লবির সংস্কারকাজ সম্পন্ন করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২০ পয়সা, যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১৫ পয়সা। ৩১ মার্চ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ১৫ পয়সা।

সর্বশেষ সার্ভিল্যান্স রেটিং অনুযায়ী দ্য পেনিনসুলা চিটাগংয়ের ঋণমান ‘ডাবল এ থ্রি’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির ব্যাংক দায় ও অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ মূল্যায়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ (সিআরএবি)।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। বার্ষিক ইপিএস ছিল ৬২ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ৫৩ পয়সা। ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরেও ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় পেনিনসুলা চিটাগং। এর আগে ২০১৬ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পান এর শেয়ারহোল্ডাররা।

ডিএসইতে বৃহস্পতিবার পেনিনসুলা শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ২৪ টাকা। দিনভর দর ২৩ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ২৪ টাকা ১০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। সমাপনী দর ছিল ২৪ টাকা, যা এর আগের কার্যদিবসে ছিল ২৩ টাকা ৭০ পয়সা। এদিন ২১১ বারে কোম্পানিটির মোট ১ লাখ ৮৮ হাজার ৪৪৬টি শেয়ারের লেনদেন হয়। এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন দর ছিল ২২ টাকা ৬০ পয়সা ও সর্বোচ্চ দর ৩৮ টাকা ৮০ পয়সা।

প্রসঙ্গত, পেনিনসুলা চিটাগং ২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে আসে। এর অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১১৮ কোটি ৬৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভ ১৪১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি ৮৬ লাখ ৬৬ হাজার ৮০০। এর মধ্যে ৪৫ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ৮ দশমিক ২৪, বিদেশী বিনিয়োগকারী দশমিক ১৪ ও বাকি ৪৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।