পুঁজিবাজারের দুই সমস্যা চিহ্নিত করেছে  বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। সংস্থাটির মতে,  দুর্বল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কাঠামো এবং কর্পোরেট সুশাসনের অভাবকেই পুঁজিবাজারকে অস্থিতিশীল করে তোলা হয়েছে। এছাড়া দুষ্টচক্রের আনাগোনা, দুর্বল আইপিও, অস্বচ্ছ বার্ষিক প্রতিবেদন, বিও অ্যাকাউন্টের অপর্যাপ্ত স্বচ্ছতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের প্রশ্নবিদ্ধ কার্যক্রম পুঁজিবাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলছে বলে মনে করে সিপিডি।

রোববার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিভিউ অব বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট’ শীর্ষক বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বাধীন পর্যালোচনায় এসব কথা জানায় সিপিডি। অনুষ্ঠানে সিপিডির সম্মানিত ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান, বিশেষ ফেলো মুস্তাফিজুর রহমান ও খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন ও গবেষণায় সাহায্যকারি দল উপস্থিত ছিলেন।

সিপিডি মতে, পুঁজিবাজারে কোন ধরনের সংকট তৈরি হলেই সেখানে অর্থ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু অর্থসংকট পুঁজিবাজারের মূল সমস্যা নয়। দুর্বল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কাঠামো এবং কর্পোরেট সুশাসনের অভাবকেই পুঁজিবাদের প্রধান সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেন তারা। এছাড়াও নীতিনির্ধারণী সংস্থাগুলো স্বাধীনভাবে করছে কিনা এ বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সিপিডির গবেষকরা।

অনুষ্ঠানে বলা হয়, আমাদের সামনে সবসময় ২৭ লাখ অ্যাকাউন্টের তথ্য উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু প্রকৃত চিত্র সম্পুর্ন ভিন্ন। বর্তমানে পুঁজিবাজারের মোট বিও একাউন্টের সংখ্যা ৬৬ লাখের অধিক। প্রতিবছর যে হারে বিও একাউন্ট বাড়ছে সে হারে বিনিয়োগ বাড়ছে না। সুতরাং নতুন নতুন একাউন্টের মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নেয়া হচ্ছে । এই সমস্যা সমাধানে বিও একাউন্ট খোলার জন্য টিআইএন নাম্বার, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাধ্যতামূলক করার পরামর্শ দেয় সিপিডি।