প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ এখনও পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারেনি পুঁজিবাজার তালিকাভু্ক্ত ৪ কোম্পানি। এগুলো হলো: আমান কটন ফাইবার, প্যাসিফিক ডেনিমস, ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড এবং রিজেন্ট টেক্সটাইল লিমিটেড।
জানা যায়, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয়, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খাতে ব্যয় মেটাতে আমান কটন পুঁজিবাজার থেকে ৮০ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। এ জন্য দুই কোটি ৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৩টি শেয়ার ইস্যু করা হয়। এর মধ্যে এক কোটি ২৫ লাখ শেয়ার কাট অফ প্রাইসে বা ৪০ টাকা মূল্যে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের নিকট বিক্রি করা হয়। বাকি ৮৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৩টি শেয়ার ৩৬ টাকা মূল্যে (প্রাপ্ত মূল্য ১০ শতাংশ বাট্টায়) সাধারণ বিনিয়োগকারীর নিকট বিক্রি করা হয়। আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলন করা টাকা ব্যবহারের শেষ সময় ছিল চলতি বছরের ৫ আগস্ট। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোম্পানিটি মাত্র ৭ কোটি ১ লাখ ৪৩ হাজার ২৪৩ টাকা ব্যবহার করতে পেরেছে। বাকি ৭২ কোটি ৯৮ লাখ ৫৬ হাজার ৭৫৭ টাকা নির্ধারিত সময়ে ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছে কোম্পানিটি।
এদিকে, ব্যবসায় সম্প্রসারণ, ঋণ পরিশোধ ও আইপিও ব্যয় মেটানোর জন্য প্যাসিফিক ডেনিমস ৭ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যু করে পুঁজিবাজার থেকে ৭৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে। উত্তোলন করা এ অর্থ ব্যবহারের শেষ সময় ছিল চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোম্পানিটি ৫১ কোটি ৯২ লাখ ৯০ হাজার ১৪৭ টাকা ব্যবহার করতে পেয়েছে। বাকি ২৩ কোটি ৭ লাখ ৯ হাজার ৮৫৩ টাকা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অন্যদিকে, এলপিজি বোতলজাতকরণ ও ডিস্ট্রিবউশন প্ল্যান্ট স্থাপন এবং আইপিও প্রস্তাবের খরচ মেটানোর জন্য ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন আইপিওর মাধ্যমে ৩ কোটি শেয়ার ইস্যু করে পুঁজিবাজার থেকে ৩০ কোটি টাকা উত্তোলন করে। এ অর্থ ব্যবহারের শেষ সময় ছিল চলতি বছরের ১৭ আগস্ট। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোম্পানিটি ৬ কোটি ৮৬ লাখ ৫২ হাজার ৩৬৭ টাকা ব্যবহার করেছে। বাকি ২৩ কোটি ১৩ লাখ ৪৭ হাজার ৬৩৩ টাকা ব্যবহার করতে পারেনি।
এছাড়াও মূলধনি বিনিয়োগ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ, চলতি মূলধন অর্থায়ন ও আইপিও ব্যয় মেটাতে রিজেন্ট টেক্সটাইল ১৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ ২৫ টাকা মূল্যের শেয়ার ইস্যু করে আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে। এ অর্থ ব্যবহারের শেষ সময় ছিল চলতি বছরের ৩০ জুন। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোম্পানিটি ৭৯ কোটি ৪৮ লাখ ৯৮ হাজার ৪০৩ টাকা ব্যবহার করতে পেরেছে। বাকি ৪৫ কোটি ৫১ লাখ ১ হাজার ৫৯৭ টাকা ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছে।