সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনে চলছে লেনদেন। এদিন লেনদেনের শুরু থেকেই সৃষ্ট বিক্রয় চাপে টানা নামতে থাকে সূচক। সোমবার লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘন্টায় সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকেও লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। আলোচিত সময়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে প্রায় ২৩০ কোটি টাকা। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টানা মন্দার পর বাজার যেখানে ভালো হওয়ার কথা সেখানে কোম্পানিগুলোর ঘোষিত বোনাস লভ্যাংশ এবং রিটেইনড আর্নিংস (অবণ্টিত মুনাফা) এর উপর কর আরোপ নিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তিতে পুঁজিবাজারের করুণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মূলত বিনিয়োগকারীরা বাজারের প্রতি আস্থা রাখতে পারছেন না। কেননা এখানে তারল্য সংকট, সুশাসনের অভাব এবং বিভিন্ন কারসাজি প্রতিকারের বদলে উল্টো আচরণ শুরু হল। অর্থাৎ বাজারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে। যাতে সাধারণভাবে বিনিয়োগকারীরা প্রতিনিয়ত আস্থা হারাচ্ছে। কাজেই পুঁজিবাজারকে ভালো করতে হলে সরকারকেই প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে বলেও মনে করছেন তারা।
এদিকে, আজকের দুপুরের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দুপুর ১২টায় ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫৪০১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১২২৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৮৯৭ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ৩৩৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০১টির, দর কমেছে ১৯৮টির এবং দর পরিবর্তীত রয়েছে ৩৬টির। এ সময় টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ২২৬ কোটি ৯৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
এর আগের কার্যদিবস একই সময় ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ১২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৫৪৬২ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১২৪২ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৯১৫ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ২৩৪ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ৪৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১০ হাজার ২৬ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ১৮৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৪৭টির, দর কমেছে ১২৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির। আলোচিত সময়ে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৮৮ লাখ ৯ হাজার টাকা।