প্রথম প্রান্তিকে উৎপাদন বন্ধ থাকায় বড় লোকসান গুনছে পুঁজিবাজারের সিরামিক খাতের স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক লিমিটেড। কিন্তু তার পরেও লাগামহীন বাড়ছে কোম্পানিটির শেয়ার দর। বিগত ৫ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে প্রায় ১০০ টাকা।
এদিকে, ডিভিডেন্ড ঘোষণার গুজবকে কেন্দ্র করে এপ্রিল থেকে লাগামহীন ছিল সিরামিক খাতের কোম্পানিটি। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ অক্টোবর কোম্পানিটির শেয়ার বিগত যে কোন সময়ের তুলনায় রেকর্ড দরে অবস্থান করে। কিন্তু এত কিছুর পরেও কোম্পানিটির শেয়ার দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই’র পক্ষ থেকে মাত্র ১ বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটি সংঘবদ্ধ চক্র স্বল্পমূলধনী কোম্পানিটির শেয়ার কারসাচিতে সক্রিয় রয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে উৎপাদন বন্ধ থাকলেও কোম্পানি কর্তৃপক্ষ তা আগে প্রকাশ করেনি। পাশাপাশি ৩০ জুন ২০১৯ সালের সমাপ্ত অর্থবছরে শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’১৯) কোম্পানিটির মুনাফার উল্লম্ফন দেখিয়েছে। কারণ, তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ০.৭২ টাকা। যা ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরে ১.৫৬ টাকায় স্থিতি পেয়েছে। অর্থাৎ বছরের শেষ তিন মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ০.৮৪ টাকা।
সংশ্লিষ্টরা আরো বলেন, বছর শেষে কোম্পানিটির মুনাফার উল্লম্ফন হলেও কোম্পানিটি ৫ শতাংশ ডিভিডন্ড ঘোষণা করেছে। যার ফলশ্রুতিতে কোম্পানিটির শেয়ার ৭৪০ টাকা থেকে ৩২৯ টাকা কমে ৪১১ টাকায় স্থিতি পেয়েছে। অর্থাৎ কোম্পানি ও কারসাজি চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
অভিযোগ রয়েছে, কয়েকজন বড় বিনিয়োগকারী আগের মতো নির্ধারিত ২/৩টি ব্রোকারেজ হাউজ থেকে নিজেদের কয়েকটি বিও হিসাব থেকে প্রতিদিন কোম্পানিটির শেয়ার বড় আকারে লেনদেন করছে। কিন্তু পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও স্টক এক্সচেঞ্জ নেপথ্যের নায়কদের খুজে বের করছে না।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৩ নভেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৫০৭.৫ টাকা। মাত্র ৪ কার্যদিবসের ব্যবধানে তা আজ (১৯ নভেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ার সর্বোচ্চ ৬০২.৫০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। অর্থাৎ বিগত ৪ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে প্রায় ১০০ টাকা।
বিনিয়োগকারী মোহাম্মদ আনিসউজ্জামন বলেন, একটি সংঘবদ্ধ চক্র দুর্বল মৌলের কোম্পানিটির শেয়ার নিয়ে বার বার কারসাজি করছে। কোম্পানিটির শেয়ারের এই অস্বাভাবিক লেনদেন তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।