পুঁজিবাজারকে উঠে দাঁড়াতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ বাজারসংশ্লিষ্ট সব মহল চেষ্টা করছে। যার কারণে গত তিন দিন ধরে বাজার কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কেনার চাপে বাড়ছে অধিকাংশ শেয়ারের দর। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রায় ৭০ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। বাজারে এখন বড় ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাই শেয়ার কিনছেন। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে খুব কম সংখ্যকের শেয়ার কেনার সক্ষমতা রয়েছে। এ মুহূর্তে বাজারে প্রায় সব শেয়ারই কেনার উপযুক্ত দামে থাকায় কোনো ধরনের বাছ-বিচার না করেই শেয়ার কেনা হচ্ছে। এর ফলে দুর্বল কোম্পানিগুলের দর তুলনামূলক বেশি বাড়ছে। আর এ দর বৃদ্ধিতে আকৃষ্ট হয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এসব শেয়ারে বিনিয়োগ করে ফের পুঁজি হারাতে পারেন।
গতকাল ডিএসইতে ৭০ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। এর মধ্যে এ ক্যাটেগরির ৬৮ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। এন ক্যাটেগরির ৫০ শতাংশ ও বি ক্যাটেগরির ৭৩ শতাংশ এবং জেড ক্যাটেগরির বেড়েছে ৭৯ শতাংশ কোম্পানির দর। দর বৃদ্ধির শীর্ষ পর্যায়ে থাকা অধিকাংশই ছিল জেড ক্যাটেগরির। এসব কোম্পানি হচ্ছে ঢাকা ডায়িং, তুংহাই নিটিং, সাভার রিফ্রাক্টরিজ, বিডি ওয়েল্ডিং, বেক্সিমকো সিনথেটিকস, ইমাম বাটন, কেয়া কসমেটিকস, এমারাল্ড অয়েল ও সিএনএ টেক্স। এসব শেয়ারের দর ৯ থেকে ১০ শতাংশ বেড়েছে।
গতকাল মিউচুয়াল ফান্ড ও বিমা খাতে বিক্রির চাপ অন্যান্য খাতের তুলনায় বেশি ছিল। কেনার চাপ বেশি ছিল জ্বালানি, প্রকৌশল ও বস্ত্র খাতে। তবে লেনদেনের শীর্ষে ছিল মিউচুয়াল ফান্ড। এ খাতে লেনদেন হয় মোট লেনদেনের ১৫ শতাংশ বা ৬৯ কোটি টাকা। দর বেড়েছে ৫৬ শতাংশ ফান্ডের। পাঁচটি মিউচুয়াল ফান্ড দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে উঠে আসে। বিমা খাতে লেনদেন হয় ১৪ শতাংশ। এ খাতে ৬৫ শতাংশ কোম্পানি দরপতনে ছিল। ১৩ শতাংশ লেনদেন হয় ওষুধ ও রসায়ন খাতে। এ খাতে ৭৮ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। স্কয়ার ফার্মার ১৩ কোটি ও বীকন ফার্মার পৌনে ১২ কোটি টাকা লেনদেন হয়। ওয়াটা কেমিক্যাল ও ম্যারিকো দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে উঠে আসে। জ্বালানি খাতে লেনদেন হয় ১০ শতাংশ। এ খাতে ৮৪ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। প্রায় ২৫ কোটি টাকা লেনদেন হয় ইউনাইটেড পাওয়ারের। দর বেড়েছে ১৫ টাকা ৬০ পয়সা। ডরিন পাওয়ারের সোয়া সাত কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে এক টাকা ১০ পয়সা। ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে অবস্থান করে। প্রকৌশল খাতে ৮৬ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। কে অ্যান্ড কিউ দর বৃদ্ধিতে অষ্টম অবস্থানে উঠে আসে। সিঙ্গার বিডির ১১ কোটি টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে ৯ টাকা ৪০ পয়সা। বস্ত্র খাতে বেড়েছে ৭৮ শতাংশ কোম্পানির দর। ভিএফএস থ্রেডের প্রায় আট কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৬০ পয়সা। মেট্রো স্পিনিং দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে উঠে আসে। বাকি খাতগুলোতে ছিল ইতিবাচক গতি।