সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় চলছে লেনদেন। এদিন লেনদেনের শুরুতে উত্থান থাকলেও কিছুক্ষণ পর সৃষ্ট বিক্রয় চাপে টানা নামতে থাকে সূচক। মঙ্গলবার লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘন্টায় সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকেও লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। আলোচিত সময়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৮০ কোটি টাকা। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সম্প্রতি পুঁজিবাজারে যে টানা দর পতন তা গত ১০ বছরেও হয়নি। যেখানে আমাদের এক বছর এগিয়ে যাওয়ার কথা সেখানে এক বছর পিছিয়ে গিয়েছি। এখান থেকে উত্তরণে বাংলাদেশ ব্যাংক পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়ানোর বিষয়ে সার্কুলার জারি করেছিল। এরপর গত দুইদিন সূচক কিছুটা বাড়লেও আজ আবার পতন শুরু হয়েছে সূচকে। যদিও কেউ কেউ এটাকে মুনাফা তুলে নেয়ার পতন বলছেন। কিন্তু সংশোধনের নামে বড় পতন যেন না হয়। কারণ এটা বিনিয়োগকারীদের মনে আতঙ্ক ছড়াতে পারে। কাজেই এ বিষয়টিতে সকলকে সজাগ থাকতে হবে বলেও মনে করছেন ওই বিশ্লেষকরা।

এদিকে, আজকের দুপুরের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আজ দুপুর ১২টায় ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪৯৭৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১৪৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৭৭৭ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ৩৪৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০০টির, দর কমেছে ২০৩টির এবং দর পরিবর্তীত রয়েছে ৪৩টির। এ সময় টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১৮০ কোটি ২৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।

এর আগের কার্যদিবস ১২টায় ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ৯৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৫০১৭ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১১৬৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৭৯৪ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ২০৩ কোটি টাকা।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ৫৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ১৮৪ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ১৭৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৩টির, দর কমেছে ৯৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির। আলোচিত সময়ে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৮৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা।