ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল বেশিরভাগ কোম্পানির দরপতন সত্ত্বেও প্রধান সূচক ইতিবাচক ছিল, যদিও মাত্র দুই পয়েন্ট উত্থান হয়। গতকাল ডিএসইতে ৩৫ শতাংশ কোম্পানির দর ইতিবাচক ছিল। কমেছে ৫৩ শতাংশের দর। লেনদেন আগের দিনের তুলনায় সামান্য বেড়েছে। অন্য দুই সূচকের পতন হলেও ডিএসইএক্স সূচকের উত্থানের পেছনে মূল ভূমিকায় ছিল ব্যাংক খাতের দরবৃদ্ধি। এছাড়া বিমা খাতে লেনদেন  ব্যাপকহারে বেড়েছে। আর্থিক খাতের অবস্থানও ভালো ছিল। এই তিন খাত ছাড়া বাকি প্রায় সব খাতেই পতন হয়।
গতকাল ডিএসইতে মোট লেনদেনের ২০ শতাংশ হয় বিমা খাতে। আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৯ শতাংশ। বিমা খাতে ৭৫ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকার ৯০ শতাংশই ছিল বিমা খাতের দখলে। প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে তালিকার শীর্ষে উঠে আসে ন্যাশনার লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এর পরের অবস্থানগুলোতে ছিল পদ্মা লাইফ, সানলাইফ, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি লাইফ, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স, সন্ধানী ও পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এছাড়া ন্যাশনাল লাইফের প্রায় আট কোটি টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে ১৮ টাকা। রূপালী লাইফের পৌনে সাত কোটি টাকা লেনদেন হলেও এক টাকা দরপতন হয়। ব্যাংক খাতে লেনদেন হয় মোট লেনদেনের ১৭ শতাংশ। এ খাতে ৬৫ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। আইএফআইসি ব্যাংকের প্রায় আট কোটি টাকা লেনদেন হলেও ৪০ পয়সা দরপতন হয়। প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয় ১৩ শতাংশ। এ খাতের ইস্টার্ন কেব্লস দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশে অবস্থান করে। কোম্পানিটির সাড়ে ১২ কোটি টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে ২২ টাকা ৩০ পয়সা। জ্বালানি খাতে লেনদেন হয় ৯ শতাংশ। এ খাতে মাত্র ২৬ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। ডরিন পাওয়ারের প্রায় আট কোটি ও ইউনাইটেড পাওয়ারের সাড়ে সাত কোটি টাকা লেনদেন হলেও দুই কোম্পানি দরপতনে ছিল। আর্থিক খাতে মাত্র পাঁচ শতাংশ লেনদেন হলেও ৬৫ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। বিবিধ খাত, সেবা ও আবাসন, ভ্রমণ ও অবকাশ খাত শতভাগ নেতিবাচক ছিল। খাদ্য খাতে ১৬ শতাংশ কোম্পানির দর বাড়লেও এ খাতের বিএটিবিসি সাড়ে ১৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে শীর্ষে উঠে আসে। তবে শেয়ারটির ৬৩ টাকা দরপতন হয়। বাকি খাতগুলোতে অধিকাংশ কোম্পানি দরপতনে ছিল।