পুঁজিবাজারে গতি ফেরানোর লক্ষ্যে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অর্থমন্ত্রী মতবিনিময় করলেও তাতে আস্থা বাড়েনি বিনিয়োগকারীদের। তাই সোমবারের বহুল আলোচিত মতবিনিময় সভাটির কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি বাজারে। আজ মঙ্গলবার সভা পরবর্তী প্রথম কার্যদিবসে সূচক পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে পুঁজিবাজারের লেনদেন। আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তিনটি সূচকই কমেছে। তবে লেনদেন সামান্য বেড়েছে।

আজ ডিএসইতে লেনদেনের শুরুটা ছিল কিছুটা আশা জাগানিয়া। প্রথম আধা ঘন্টার মধ্যে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিয়ের চেয়ে প্রায় ৩০ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৯৯০ পয়েন্টে উঠে গিয়েছিল। আর প্রথম এক ঘন্টায় লেনদেন হয়েছিল প্রায় ১৫০ কোটি টাকা মূ্ল্যের শেয়ার। প্রথম ঘন্টার লেনদেন আভাস দিচ্ছিল-দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ ৬শ কোটি টাকার কাছাকাছি হতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাড়ে ৪শ কোটি টাকার আগেই থেমে যায় তা। অন্যদিকে সূচকও উল্টো আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৩০ পয়েন্ট কমে যায়। দিন শেষে সূচকের অবস্থান দাঁড়ায় ৪ হাজার ৯২৮ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট। আর লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪শ ৩৩৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার পর থেকে পুঁজিবাজারে চলমান মন্দার প্রেক্ষিতে পরিস্থিতির উত্তরণে করণীয় ঠিক করতে সোমবার বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসলামুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জা আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবীর, বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার এই বৈঠকে অংশ নেন।

সভা শেষে অনুষ্ঠত ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি দেশের অর্থনীতির মতোই পুঁজিবাজারকেও একইরকম গতিশীল দেখতে চান। আর তার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এই আশাবাদ ও আশ্বাসে বিনিয়োগকারীরা সম্ভবত আস্থা রাখতে পারেনি।