সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় চলছে লেনদেন। এদিন শুরু থেকেই সৃষ্ট ক্রয় চাপে বাড়তে থাকে সূচক। মঙ্গলবার লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘন্টায় সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকেও লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আলোচিত সময়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে প্রায় ২৬০ কোটি টাকা। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিএসইসির বিভিন্ন সংস্কার এবং অর্থমন্ত্রীসহ সরকারের পক্ষ থেকে পুঁজিবাজার নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য রয়েছে। সে কারণে বাজেটে পুঁজিবাজার তথা বিনিয়োগকারীদের জন্য ভালো কিছু থাকবে এমনটা স্বাভাবিক। এমনকি কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হতে পারে! কেননা বাজেটে বিনিয়োগকারী তথা পুঁজিবাজারের স্বার্থের কথা বিবেচনা করা হবে। বাজেটে এমন কিছু থাকবে না যা পুঁজিবাজারের জন্য নেতিবাচক হয়। অর্থমন্ত্রীর পুঁজিবাজারের উন্নয়নে যেসব প্রণোদনা লাগবে বাজেটে তা রাখবেন এমন ধারনা থেকে ঈদের ছুটি শেষে পুঁজিবাজার ধীরে ধীরে ইতিবাচক হচ্ছে। সূচকের ঊর্ধ্বগতি সেসঙ্গে লেনদেনও বাড়ছে। বিনিয়োগকারীরা ক্রমেই সক্রিয় হয়ে উঠছেন। ফলে শেয়ারের দর বাড়ছে বলেও মনে করছেন তারা।
এদিকে, আজকের দুপুরের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দুপুর ১২টায় ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫৪৬৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১২৪২ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৯১৭ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ৩৩৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৪০টির, দর কমেছে ৪৪টির এবং দর পরিবর্তীত রয়েছে ৫৩টির। এ সময় টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ২৫৬ কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার টাকা।
এর আগের কার্যদিবস একই সময় ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ২৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৫৪২৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১২৩১ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৮৯৭ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ২১৭ কোটি ৭৫ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ৬৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১০ হাজার ১৩০ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ১৯৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২০টির, দর কমেছে ৩৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির। আলোচিত সময়ে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৮৬ লাখ ৪৩ টাকা।