বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন বলেছেন, আমাদের মার্কেট শৃঙ্খলার অভাব নেই। এখানে কোন মানি লন্ডারিং নেই, টেরোরিজম ফাইন্যান্সিং নাই। বরং এখানে শতভাগ শৃঙ্খলার মধ্যে অর্থ লেনদেন হয়। গত মাসে নতুন চারটি আন্তর্জাতিক মানের আইন করা হয়েছে। ডেরিভেটিবস মার্কেট প্রচলন, বন্ড মার্কেট উন্নয়ন, সুকুক ইত্যাদি। এখন তাড়াতাড়ি বন্ড মার্কেট উন্নয়ন করা হবে। আর ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও প্রাইভেট ইক্যুইটির মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকার নিচে যেসব কোম্পানি আসবে, তাদের জন্য ইতিমধ্যে প্লাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। তাই আপনারা শিগগিরই দেখবেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের দৈনিক লেনদেন কত বেড়ে যায়।

গতকাল শুক্রবার ২২ জুন কক্সবাজারে ‘চীফ অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কমপ্লায়েন্স অফিসার (সিএএমএলসিও)’ শীর্ষক কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউ প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দিন নিজামী ও ড. স্বপন কুমার বালা। বিএফআইউ এর অপারেশনাল হেড মো. জাকির হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত  কনফারেন্সটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে বিএসইসি ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

বিএসইসি’র চেয়ারম্যান বলেন, সরকার অনেক দিন পরে হলেও বুঝতে পেরেছেন, পুঁজিবাজার ছাড়া অর্থনৈতিক লক্ষমাত্রা অর্জন করা সম্ভব না। এজন্য অর্থমন্ত্রী বাজেটে বলেছেন, মানি মার্কেটে অসামঞ্জস্য রয়েছে। ব্যাংক থেকে স্বল্পমেয়াদি ডিপোজিটের বিপরীতে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন ঠিক না। পুঁজিবাজার দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের কাজ করবে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা পরে সবকিছু পরিস্কার হতে কয়েকদিন সময় লেগেছে। ঘোষিত বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য যে বিষয়গুলো সমস্যা, সে বিষয়গুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করা হয়েছে। সবকিছু সমাধান করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এছাড়া যেগুলো আমরা চিহ্নিত করতে পারিনি, সেগুলোও সমাধানের কথা তিনি বলেছেন। পুঁজিবাজারের যাতে উন্নয়ন ব্যাহত না হয়, আর পুঁজিবাজারে যত ধরনের সমস্যা আছে, সেগুলো সমাধানের জন্য যত এসআরও প্রয়োজন, প্রধানমন্ত্রী ততগুলো এসআরও জারির ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, অনেক বড় বড় ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজারে আসতে চায় না। কারন ক্যাপিটাল মার্কেটের কমপ্লায়েন্স, রিকোয়্যারমেন্ট ও গভর্ণেন্স অনেক বেশি শক্ত। দেশের উন্নতির জন্য, সমাজের উন্নতির জন্য ও ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য এবং বাঙ্গালি হিসাবে বিশ্বে সুপরিচিতির জন্য সৎ নীতিবান ও আইনের আলোকে জীবন চালাতে হবে।