৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৮৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ১৩ টাকা ৩৬ পয়সা।

নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডা অনুমোদনের জন্য আগামী ২২ আগস্ট রাজধানীর পুরানা পল্টনে অবস্থিত ফারস হোটেল ও রিসোর্টসে বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আয়োজন করবে প্রতিষ্ঠানটি। এজিএমের সময় পরে জানানো হবে। এজিএম-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ জুলাই।

২০১৮ হিসাব বছরে কর পরিশোধের পর ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের নিট মুনাফা ৭১ শতাংশ কমেছে। এর কারণ হিসেবে কোম্পানিটি স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষকে জানায়, গেল বছর তাদের বিনিয়োগে লোকসান হয়েছে ৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা, সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান থেকে আয় ১১ কোটি ৪০ লাখ টাকা কমেছে এবং আয়কর সঞ্চিতি ১৪ কোটি ১০ লাখ টাকা বেড়েছে।

২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ১২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় ইন্টারন্যাশনাল লিজিং। ২০১৬ হিসাব বছরে ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা।

এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৫ পয়সা। ৩১ মার্চ সম্মিলিতভাবে এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৪৫ পয়সা। কোম্পানিটির সুদ বাবদ তহবিল ব্যয় ২৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় প্রথম প্রান্তিকে নিট মুনাফা ৮০ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইতে সর্বশেষ ১০ টাকা ১০ পয়সায় ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের শেয়ার হাতবদল হয়। সমাপনী দর ছিল ১০ টাকা ২০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর ছিল ১৮ টাকা ৪০ পয়সা ও সর্বনিম্ন ৯ টাকা।

২০০৭ সালে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি, পরিশোধিত মূলধন ২১১ কোটি ২৪ লাখ ৮০ হাজার ও রিজার্ভ ৫৯ কোটি ৬৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের মধ্যে ৪১ দশমিক ৫৪ শতাংশ কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রতিষ্ঠান ২৬ দশমিক ৮৫, বিদেশী ১ দশমিক ৩১ ও বাকি ৩০ দশমিক ৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।