সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের বড় পতনে শেষ হয়েছে লেনদেন। এই দিন লেনদেনের শুরু থেকেই সেল প্রেসারে টানা নামতে থাকে সূচক। তবে প্রথম ঘন্টায় একবার ঘুঁড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও ব্যহত হয় বাজার। এরই ধারাবাহিকতায় টানা ৭ কার্যদিবসে ২৮৯ পয়েন্ট হারিয়েছে পুঁজিবাজার। সোমবার লেনদেন শেষে সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকেও লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। আজ দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩০৬ কোটি ৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।

এরই ধারাবাহিকতায় গত আড়াই বছরের সর্বনিম্ন স্থানে নিচে অবস্থান করছে ডিএসই‘র প্রধান সূচক। গত ১ জানুয়ারি, ২০১৭ ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স অবস্থান করে ৫০৮৩.৮৯ পয়েন্টে এবং আজ ১৫ জুলাই, ২০১৯ সূচক ৮৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৫০৯১.০৪ পয়েন্টে। 5380.79351

এছাড়াও, গত ৪ জুরাই ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স অবস্থান করে ৫৩৮০.৭৯ পয়েন্টে এবং আজ ১৫ জুলাই, সূচক অবস্থান করে ৫০৯১.০৪ পয়েন্টে।  আলোচিত সময়ে ডিএসই সূচক হারিয়েছে ২৮৯.৩০ পয়েন্ট।

আজ দিন শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৮৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫০৯১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১৬৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৩৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৮১৮ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৫২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৭টির, কমেছে ৩০৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৩০৬ কোটি ৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।

এর আগের কার্যদিবস দিন শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ৪২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৫১৭৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১১৯০ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৮৫৩ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৩৫৪ কোটি ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪৭ কোটি ৯৮ লাখ ২২ হাজার টাকা।

এদিকে দিন শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক সিএসইএক্স ১৫৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ৪৮৭ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৭৮টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৪০টির, কমেছে ২২০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৪০ লাখ ৫১ হাজার টাকা।